শিরোপা হারানো বার্সার শেষ ম্যাচে জয়
ম্যাচের আগে ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব শুনিয়েছে বার্সেলোনা। রিয়ালকে শিরোপা জেতাতে ম্যাচ ছেড়ে দেবে মালাগা—এমন কথাবার্তা শুনিয়েছে কাতালুনিয়ার পত্রপত্রিকা। কিন্তু এইবারের বিপক্ষে বার্সার প্রথমার্ধ দেখে মনে হয়েছে, তারা নিজেরাই বোধ হয় রিয়ালকে শিরোপা দিয়ে দিতে চাইছে!
এইবারের বিপক্ষে দুই গোল খাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠিকই জিতল বার্সেলোনা। তবে রিয়াল মাদ্রিদও তাদের কাজটি করলো ঠিকঠাক। লা লিগায় নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পাওয়া লুইস এনরিকের দলের তাই টানা তৃতীয় শিরোপা জেতা হলো না।
কাম্প নউয়ে এইবারকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। রোববার রাতে একই সময়ে মালাগার মাঠে ২-০ গোলের জয়ে পাঁচ বছর পর শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বড় ধাক্কা কাম্প নউয়ে। না, বার্সেনালের জালে গোল নয়, একই সময়ে চলা অন্য ম্যাচে মালাগার জালে রোনালদোর গোল। রিয়াল মাদ্রিদ ড্র অথবা জিতলেও যে লাভ হবে না ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনার।
মাত্র ৭ মিনিটেই ন্যু ক্যাম্পকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করে বসেন তাকাশি ইনুই। পরের মিনিটেই সমতা ফেরাতে পারতেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাইরে বল পাঠিয়েছেন সুয়ারেজ। ১৪ মিনিটে সে দুঃখ কাতিয়ে গোল করে দেখেন, তাঁকে গোল করানো জর্ডি আলবা ছিলেন অফসাইডে। এরপর আরও একবার গোলের সহজতম সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু আরও একবার তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন গোলরক্ষক ইউয়েল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধানটা উল্টো ২-০ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু ইনুইয়ের শট থেকে পাওয়া ফিরতি বল হাস্যকরভাবে বাইরে পাঠিয়ে দেন কিকে। ৩৫তম মিনিটে ইভান রাকিতিচের ভলি ঠেকানোর দুই মিনিট পর সুয়ারেসের শটও ঠেকিয়ে এইবারকে বাঁচান গোলরক্ষক ইয়োল রদ্রিগেস।
বিরতির আগে টের স্টেগেনের ভুলে বল পেয়ে খালি জালেও গোল করতে পারেননি রুবেন পেনা। ৬১তম মিনিটে প্রায় একই জায়গা থেকে একই রকম গোল ইনুইয়ের। বার্সেলানা পিছিয়ে দুই গোলে, রিয়াল এগিয়ে দুই গোলে; মাঠ ছাড়েন কিছু বার্সা সমর্থক।
অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করা বার্সেলোনা ম্যাচে ফেরে ৬৩তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে। নেইমারের শট পোস্টে লেগে ফিরলে দাভিদ জুনকার পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়। ৭০তম মিনিটে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ম্যাচ জুড়ে অসংখ্য সেভ করা রদ্রিগেস। জর্দি আলবাকে ফাউলের অভিযোগে রেফারির দেওয়া স্পট কিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে।
তবে সমতা ফেরাতে দেরি হয়নি বার্সেলোনার। ৭৩তম মিনিটে পাকো আলকাসের হেডে পোস্টের খুব কাছ থেকে পা বাড়িয়ে বল জালে পাঠান সুয়ারেস।
দুই মিনিট পর পেনাল্টি পেয়ে আর ভুল করেননি মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের স্পটকিক পুরোপুরি ঠেকাতে পারেননি রদিগ্রেস। নেইমারকে আন্দের কাপা ডি-বক্সে ফাউল করলে রেফারি এবার ঠিকভাবেই পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে কাপাকে মাঠও ছাড়তে হয়।
তবে ততক্ষণে রিয়াল মাদ্রিদের জয় প্রায় নিশ্চিত। বার্সার এগিয়ে যাওয়ায় আর কিছু আসে যায় না। ম্যাচের যোগ করা সময়ে লিগে নিজের ৩৭তম গোল করেন মেসি। কিন্তু ততক্ষণে পার্টি শুরু হয়ে গেছে মাদ্রিদে।
এ ফেরাটাই সান্ত্বনা হয়ে থাকল বার্সেলোনার। অন্য ম্যাচে যে রোনালদো আগেই শিরোপা জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে নিয়েছেন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন