শিশুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
অত্যাচার-নির্যাতন হলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের নিরাপত্তা ও বিকাশে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে চেষ্টা করছে সরকার।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২০ এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা জানান, মহামারীতেও শিশুর জ্ঞানগত বিকাশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
করোনাকালে ঘরবন্দী জীবনে সবচে বেশি সমস্যায় পড়েছে কোমলমতি শিশুরা। নেই স্কুল। ইচ্ছেমত বাইরে বের হওয়ায় বিধিনিষেধ। এসবকিছুই উঠে এসেছে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ বছর করোনার কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশুর সঙ্গে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালনের পাশাপাশি দেশে শিশু অধিকার সপ্তাহ চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই আয়োজনে শিশু একাডেমিতে অল্পকিছু শিশুর উপস্থিতিতে এবারের আয়োজন সম্পন্ন হয় গণভবন থেকে এতে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনায় শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন বাসার বাইরে নিয়ে যেতে অভিভাবকদের আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। ছোট বয়স থেকে তাদের ভিতরে যে সৃষ্টির ক্ষমতা সেটা বিকশিত করার সুযোগ করে দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। আমরা চাই শিশুরা নিরাপদে থাকবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং মানুষের মতো মানুষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর সর্বোচ্চ জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা স্কুল খুলতে পারছি না। বাচ্চার স্কুলে যেতে পারছে না; এটা বাচ্চাদের জন্য খুবই কষ্টের।
অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত জাতির পিতার শিশু গ্রন্থ মালার মুজিব সংস্করণ, আমরা এঁকেছি ১০০ মুজিব এবং আমরা লিখেছি ১০০ মুজিব গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন