‘শুধু শরীরের বিচারে আবেদনময়ী হয় না কেউ’

দুবাইয়ের সমুদ্রতটে সূর্যের তাপ শুষে নিচ্ছেন তিনি। পরনে সোনালি বিকিনি।

চোখে মায়াবী সানগ্লাস। যে ভঙ্গিমায় নিজের ছবি পোস্ট করেছেন ভারতীয় মডেল-অভিনেত্রী শামা সিকন্দর, তাতে অনায়াসে তার সম্পর্কে ‘আবেদনময়ী’ বিশেষণ প্রয়োগ করা যায়। তিনি নিজেও তাতে নারাজ নন। তবে ছোট্ট একটা টুইস্ট আছে।

সম্প্রতি দুবাই ভ্রমণে গিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই ছবিতে ভরিয়ে দিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম। ‘ইয়ে মেরি লাফ হ্যায়’ টেলি সিরিয়ালের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ শামার। সেখানে তাকে দেখা গিয়েছিল একেবারে ঘরোয়া, সাধাসিধে একটি চরিত্রে। পরে অবশ্য অন্য চরিত্রেও দেখা দিয়েছেন।

তবে দর্শকের মনে থেকে গেছে সেই সরল, ছাপোষা মেয়েটিই।

সে ইমেজ ভেঙে ইতিমধ্যে বেরিয়েও এসেছেন শামা। দুবাই থেকে তিনি যা ছবি পোস্ট করেছেন তাতে উষ্ণতার পারদ চড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু নেটদুনিয়ায় ছবি পোস্ট করা এখন সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে অভিনেত্রীদের কাছে। এতে প্রায় প্রত্যেকেই ট্রোলের শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক ভুক্তভোগী অভিনেত্রী এষা গুপ্তা। তিনি অবশ্য একের পর এক ছবি পোস্ট করেই হেনস্তাকারীদের মুখ বন্ধ করেছিলেন। এমনকী বিপাশা বসুর মতো সিনিয়র অভিনেত্রীকে নিয়েও মশকরা করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা।

সোনালি বিকিনি পড়া শামাকে নিয়েও চর্চা শুরু হবে তা তিনি জানতেন। আবেদনময়ী যে তাকে বলাই যায় এবং বিক্ষিপ্ত মন্তব্যে সে ইঙ্গিতও পাচ্ছিলেন। অভিনেত্রী তাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আবেদনময়ী তো বলাই যায়। কিন্তু শুধু শরীরের গড়নে কাউকে তা বলা ঠিক নয়। দরকার আত্মার ঝলকও, সে আগুনই কাউকে আবেদনময়ী করে তোলে। খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ট্রোলকারীদের মুখ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তা কতটা কার্যকরী হবে সে শুধু সময়ই বলবে।