শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া ভুল ছিল : মাহী বি চৌধুরী

বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে গত নির্বাচনে যাওয়া ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। আমি উপলব্ধি করি, এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আমার এবং বিকল্পধারার ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে নয় দফা দেন মাহী বি চৌধুরী।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বিকল্পধারার রাজনীতির প্রবক্তা অধ্যাপক একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর শেষ ৯ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী দল পুনর্গঠন করে স্বল্পতম সময়ের আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে বিকল্প জেনারেল-২ (দ্বিতীয় প্রজন্ম) যাত্রা শুরু করবে ইনশাআল্লাহ।

আমরা অধ্যাপক বি চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্প রাজনীতির যে বীজ বপন করেছি, ২০২৫ থেকে ২০৪৫ বিকল্পধারা জেনারেল-২ সে বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটাবে আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই। শান্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে যাবে বিকল্পধারা।’

মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে রাজনীতিতে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ চাইলে প্রথমে বৈষম্যমুক্ত করতে হবে সংসদকে এবং এই সংসদে আনুপাতিক হারে নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত করা যাবে না।

বারিধারায় বিকল্পধারা, বাংলাদেশ এর প্রয়াত প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসা ‘মায়া-বি’ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলের ‍মুখপাত্র। সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ৯ দফা নির্দশনা তুলে ধরেন তিনি।

বি চৌধুরীর ৯ দফা নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে-প্রজন্ম পরিবর্তন (প্রতি ২০ বছর অন্তর গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বিকল্পধারার দায়িত্ব হস্তান্তর), দলীয় কাঠামো (সিঙ্গেল ইউনিট পার্টি, সমন্বিত ও যৌথ নেতৃত্ব, কর্মসূচি ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা), দর্শন, রাজপথে ন্যূনতম দৃশ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা, সকল পর্যায়ে এবং সকল ক্ষেত্রে বিকল্পধারার রাজনৈতিক ভাষা (অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিময় ও সন্মানজনক), অহিংস ও রক্তপাতহীন কর্মকাণ্ড পরিচালনা, নিজস্ব উপার্জিত অর্থে দল পরিচালনা, বিকল্পধারার বিশ্বাস সর্বময় ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহতা‘লা, সকল ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে কোনো প্রকার পেশীশক্তি অথবা ক্ষমতা প্রদর্শন বিকল্পধারায় নিষিদ্ধ, দলের যেকোনো পদ বা পর্যায়ের নেতৃত্ব গ্রহণের যোগ্যতার ভিত্তি গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্ধারণ, পারিবারতান্ত্রিক রাজনীতির কোনো সুযোগ থাকতে পারবে না।