শেরপুরে বর্ষার বৃষ্টিতে কদমফুলের হাসি, গ্রামজুড়ে ছড়াচ্ছে মুগ্ধতার ঘ্রাণ

শেরপুরের আকাশে নেমেছে বর্ষার বৃষ্টি, আর সেই বৃষ্টির সাথে প্রকৃতি যেন জেগে উঠেছে কদমফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে। সরেজমিনে শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন গ্রামের পথ পেরিয়ে দেখা গেল—কদমগাছের ডালে ডালে ফুটে উঠেছে বর্ষার প্রতীক এই ফুল। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে এক অদ্ভুত শান্তি ও মুগ্ধতার আবহ।
কসবা এলাকার হাফেজা খাতুন (৭০) বলেন, “ছোটবেলায় বর্ষার দিনে কদমফুল হাতে নিয়ে মাঠে ছুটতাম। আজও এই ফুলের ঘ্রাণ পেলেই মন ছুটে যায় সেই শৈশবে।”
আর শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র কবির জানালেন, “গ্রামের কদমফুল মানেই বর্ষার উৎসব। এখন কদমগাছ কমে গেছে, কিন্তু যেটুকু আছে তাতেই আমরা আনন্দ খুঁজি।”
পরিবেশকর্মী শরিফ বলেন, “কদমগাছ মাটির ক্ষয় রোধে, বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে খুবই দরকারি। কিন্তু এই গাছগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। এখনই না জাগলে ভবিষ্যতে আমরা কদমফুল শুধু কবিতাতেই খুঁজে পাব।”
কদমফুল শুধু ফুল নয়, বর্ষার প্রেম, বিরহ আর মুগ্ধতার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদ্দীনের কবিতা-গানে বারবার ফিরে এসেছে কদমফুল। শেরপুরের গ্রামে গ্রামে এখনো ঈদ, নৌকাবাইচ, বর্ষা উৎসবে কদমফুলের মালা গলায় ঝুলিয়ে আনন্দে মাতে ছেলে-মেয়েরা।
শেরপুরের নদীর তীর, হাওড় বা মাঠে এক সময় সারি সারি কদমগাছ দেখা যেত। কিন্তু শহরায়ন আর গাছকাটা কদমগাছের সেই সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কদমগাছ বাঁচাতে নতুন করে রোপণ কর্মসূচি দরকার।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন