শেরপুরে মৃগী নদীতে ভাঙ্গন; ভোগান্তিতে প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বৃষ্টি কমে গেলেও মৃগী নদীতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে উপজেলার ৭টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা। এছাড়া, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে আমন ধানসহ ফসলি জমিও।
সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের এই শাখা নদীতে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেই সাথে দুই পাড়ে ভাঙনও হয়েছে তীব্র। নদী ভাঙনের ফলে সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে কড়ইতলা-নন্দীর বাজার সড়কের প্রায় ১শ মিটার অংশ বিলীনের পথে। ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যান চলাচল।
নদী ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশেপাশের আরও ফসলি জমি ও ক্ষেত-খামার বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এলাকার লোকেরাই মাটি ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন, তবে তাতে খুব একটা কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন