শেরপুরে রোপা আমন ধানের সোনালী ঝিলিক

শেরপুর জেলার শ্রীবরদীতে মাঠে মাঠে রোপা আমন ধানের সোনালী ঝিলিক দেখা যাচ্ছে । এ যেন কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। কার্তিকে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠবে বাঙলার কৃষক। মাঠের মনোরম দৃশ্যটি দেখে আনন্দিত কৃষকরা। অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এখানকার স্থানীয় কৃষকরা।

মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শ্রীবরদী উপজেলার কৃষকেরা। কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে বইছে আনন্দের বন্যা। দুইদিন পরেই ঘরে আসতে শুরু করবে তাদের সোনালী স্বপ্ন ধান।

দিগন্তজুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। কোনো এলাকায় দু’একজন চাষী ধান কাটলেও ৫/৬দিন পরে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। প্রচন্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।
এরপর সেই জমিতে মৌসুমি শীতের ফসল চাষ করবে কৃষকরা। আলু, পেয়াজ, রসুন, সরিষা, লাউসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজি।
এদিকে ব্রিধান ৭৫ কেটে অনেকেই শীতের ফসল করা শুরু দিয়েছে। অনেকে আবার আগাম সবজিও ফলাচ্ছেন।

এব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর আমন ধান চাষ করতে কষ্ট হয়েছে। শুরুর দিকে বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে। আবার লাগানোর পরেই ক্ষেতে ক্ষেতে বেশ কয়েকদিন মটর বা শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। এবছর ধানের দামটা ন্যায্য করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান স্থানীয় কৃষকরা।

কৃষক সুক্কুর মিয়া জানায়, এখন ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২/৩ দিন পর ঝাড়াই মাড়াই শুরু করবো। আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যেন ধান ভালোই হয়। আল্লাহ যেন কোনো রোগবালাই, দূর্যোগ না দেয়। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

শ্রমিকের মজুরির কথা জানতে চাইলে বলেন, বর্তমানে শুধু ধান কাটা ৫০০ টাকা। ক্ষেত থেকে বাড়িতে আনতে ৬০০ টাকা। যদি পুরোদমে কাটামারি শুরু হয় তখন শ্রমিকের মজুরি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়। উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৮ শত ১২ হেক্টর।