শোভাযাত্রার নামে প্রতারণা করছে সরকার : মান্না
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন শোভাযাত্রার নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে বাংলাদেশ জনদল আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না এ অভিযোগ করেন।
নাগরিক ঐক্যের নেতা আরো বলেন, ‘সরকার বলছে, বিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে আমরা উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছি। কিন্তু সরকারের পরিসংখ্যান ও অর্থমন্ত্রী বলছেন, আমরা ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করব। তাহলে গতকাল কেন এত ঢাকঢোল পিটিয়ে শোভাযাত্রা করলেন? তারা উন্নয়ন শোভাযাত্রার নামে কেন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে?’ বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে একটি ‘ভণ্ড ও লুটেরাদের সরকার’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মান্না বলেন ‘সরকার বলছে, আমরা নাকি উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছি। আর গত পরশু অর্থমন্ত্রী বললেন, আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে ২০২৪ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করব। তাহলে এটা কি জনগণের সাথে ভণ্ডামি না?’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন ‘বর্তমান চোর, দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের সরকার। যে সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোট চুরি করে, তারা আবার বলে উন্নয়নের কথা। বর্তমান সরকারের কেবিনেটের দিকে আমার ১০ আঙুল তাক করে বলতে পারি, এ সরকারের কম করে ৩০ জন মন্ত্রী দুর্নীতিবাজ। এরা দুর্নীতিবাজ, চোর ও লুটেরাদের সরকার। মিথ্যাবাদী সরকার।’
নাগরিক ঐক্যের এ আহ্বায়ক বলেন ‘এদের আমলেই বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংক লুট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) ডেকে নিয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি হলো অথচ এর গভর্নরকে ডাকা হলো না।’
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে মান্না বলেন ‘সরকার চায় কেউ ভোটে না আসুক। যদি সবাই নির্বাচনে আসে, সরকার ফিট হয়ে যাবে। সরকার যদি চাইত সব দল নির্বাচনে আসুক, তাহলে খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার জন্য সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠাতেন না। আর হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ বাতিল করে দিয়েছে। যাতে কেউ ভোটে আসতে না পারে, সে জন্য তারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমাদের কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে পারি না। কথা বললেই তো ধরে নিয়ে যাবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মান্না আরো বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো মানুষ ভোট দেয়নি। অথচ এ সরকার বলে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে আমরা গুনে দেখেছি।’ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার। এত দিন বলল বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, আর এখন বলছে বাংলাদেশ ডিজিটাল হতে সামগ্রিকভাবে পাঁচ বছর লেগে যাবে। অথচ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা শহরের আশপাশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ মোবাইল ফোন চালায়। এতেই বোঝা যায়, বাঙালির মাঝে সৃজনশীল শক্তি আছে। এটাকে কাজে লাগাতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাবে। আগে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা বলেছে, আমরা সবচেয়ে অলস জাতি। কিন্তু এখন প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে পরিশ্রমী, মেধাবী।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে কথা বলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন