শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর হার ভারতের
কে বলে টেস্ট ক্রিকেট আকর্ষণ হারিয়েছে? ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের সিরিজ তো পুরোটা জুড়েই ছিল বারুদে ঠাসা উত্তেজনা। ওভালে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টটা যেন আগের চার ম্যাচকেও হার মানালো। অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্তও বলা যাচ্ছিল না, ফল কী হতে যাচ্ছে?
জয়টা বলতে গেলে অসম্ভব ছিল। তবে লোকেশ রাহুল আর ঋষভ পান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ড্রয়ের খুব কাছে চলে এসেছিল ভারত। পরে লোয়ার অর্ডাররাও চেষ্টা করেছেন, এতে ম্যাচটা একদম অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে ঠেকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি বিরাট কোহলির দলের। দিনের খেলা ১৩ ওভারের মতো বাকি থাকতে ৩৪৫ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস, ম্যাচটা তারা হেরেছে ১১৮ রানে। এতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য ৪৬৪ রান, জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। ২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটির জন্য ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তা করাও তো কষ্টের ছিল। দলের ভীষণ বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরলেন লোকেশ রাহুল। এরপর যোগ দিলেন ঋষভ পান্ত। এই যুগলের সেঞ্চুরিতে ভর করেই অসম্ভব কিছুর স্বপ্ন দেখছিল সফরকারিরা।
শুরুতে বড় ধাক্কা খাওয়া ভারত একটু সামলে উঠলেও ১২১ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ রাহুল আর পান্তর। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন ২০৪ রানের জুটি।
চাপের মুখে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহুল। ক্যারিয়ারের প্রথম বড় উদযাপনটা সেঞ্চুরি দিয়েই করেন পান্তও। রাহুলের সঙ্গে তার জুটিটা রীতিমতো ঘাম ঝরাচ্ছিল ইংল্যান্ডের।
শেষপর্যন্ত দলকে সেই উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি দেন আদিল রশিদ। ১৪৯ রানে থাকা লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান এই লেগস্পিনার। এরপর ফিরিয়ে দেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান পান্তকেও। ১১৪ রান করেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। শেষ সময়ে নতুন বলে ঝলক দেখান স্যাম কুরান। তুলে নেন ইশান্ত শর্মা আর রবীন্দ্র জাদেজাকে। সামিকে বোল্ড করে শেষটা করেন অ্যান্ডারসন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন