সংসদে যেতে চাপের চেয়ে লোভ বেশি ছিল : গয়েশ্বর
বিএনপির সংসদ সদস্যদের সংসদে যেতে চাপের চেয়ে লোভ বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন: পার্লামেন্টে যাওয়ার ব্যাপারে চাপ ছিলো ঠিক। কিন্তু চাপের চেয়ে লোভ বেশি ছিলো। এরা একটা দিনও কি বলেছে খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে পার্লামেন্টে যাবো না? পাঁচজনের একজনও কি বলেছেন একদিন? তাহলে তাদের কাছে পার্লামেন্ট জরুরি। খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি না।
তিনি বলেন: বিএনপি পার্লামেন্টে যাবে না। আবার পার্লামেন্টে গেলাম কেনো? এখান থেকে বুঝতে হবে আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারি না। কারণ তাদের দলের প্রতি রাজনীতির প্রতি কোনো প্রতিশ্রুতি নাই। এই পাঁচটা লোককে আমরা যদি বাধ্য করতে পারতাম তাহলে আজকে আপনাদের এই দুঃখটা থাকতো না। মানুষের কাছেও আজকে জবাব দিতে হতো না।
তিনি বলেন: ভোট যদি রাতের আধারে চলে যায় সবারই বদনাম হয়। সামাজিক ক্ষেত্রেও অনেক অন্যায় আবদার মেনে নিতে হয়। এখন এই পাঁচজন যদি দল ছেড়ে চলে যেতো? সেই কারণেই আমাদের পেক্ষাপটও বুঝতে হবে, বর্তমান অবস্থাটাও বুঝতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন: আইন আছে আইনের প্রয়োগ নাই। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন হতো বিবেক তাড়িত হতো। খালেদা জিয়া ১৪ মাস না ১৪ দিনেও জেলে রাখতে পারতো না। আমি ধরে নিলাম উনার সাজা হয়েছে। এরকম সাজাপ্রাপ্ত লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে শত শত হাজার হাজার। তারা জামিনে মুক্ত। কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না কেনো?
তিনি বলেন: সম্প্রতি লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তারেককে বেশী বাড়াবাড়ি করতে না বলো, তাহলে কিন্তু তার মাকে আর ছাড়বো না। তার মানে ছাড়ার মালিক শেখ হাসিনা। এটা কি আদালত অবমাননা না? আদালত কি শেখ হাসিনাকে ডাকছেন? জিজ্ঞেস করেছেন?
জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন