সদরঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি শ্রমিক লীগের দুই গ্রুপ
ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের দুই গ্রুপ। দুপক্ষই নিজেদের বৈধ কমিটি দাবি করে কর্মসূচি পালন করছে।
রোববার এক পক্ষের উদ্যোগে সদরঘাটে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন সকালে অপরপক্ষ সদরঘাটে প্রকৃত শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের বাধার কারণে তা পালন করতে পারেনি বলে দাবি করা হয়েছে। এ নিয়ে সদরঘাট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, যাত্রী হয়রানি বন্ধের জন্য সদরঘাটের মূল টার্মিনাল ভবন ইজারা দেয়া হয়নি। সেখানে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের পণ্য লঞ্চে ওঠানামানোর সুবিধার্থে ৭০জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর বাইরে আরও ২০৪জন শ্রমিক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের নির্দিষ্ট পোশাকও দেয়া হয়েছে। এর বাইরেও অনেক সদরঘাটে পণ্য ওঠানামা করে।
এসব শ্রমিক নিয়োগ ও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েই মূলতঃ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, সদরঘাটে এসব শ্রমিকদের হাতে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন।
এদিকে রোববার সকালে সদরঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও প্রকৃত শ্রমিকদের জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে এ সংগঠনের সভাপতি দাবিদার মো. জলিল হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
অপরদিকে একইদিন বিকালে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আরেক পক্ষের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুবলীগ নেতা শিপু আহমেদ প্রমুখ।
একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও কমিটি প্রসঙ্গে জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের এক পক্ষের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ১৫ মার্চ শ্রম অধিদফতর আমাদের কমিটি অনুমোদন করে চিঠি দিয়েছে। আমাদের ব্যানার ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী ইফতার মাহফিল করেছে। তারাই প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বাতিল করতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সংগঠনের নাম ব্যবহার করায় আইনের আশ্রয় নেব।
অপরদিকে আরেক পক্ষের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, গত ডিসেম্বরে কিছু লোক পদত্যাগ করে চলে গেছে। তারা আমাদের কমিটিতে নেই। আমরাই বৈধ কমিটি। তবে কমিটি নিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। সদরঘাটে প্রকৃত শ্রমিকরা কাজ করছে। একটি পক্ষ অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন