সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন

আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে ০৬ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার বিকাল ৩ টায় ২২/১ তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স লাউঞ্জে ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিরোধে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায়, বক্তাগন বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব ছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদার গণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সুযোগে ভারতীয় আধিপত্যবাদের দোসর আওয়ামী লীগ পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়ায় এদেশে আবার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বীজবপন শুরু হয়।

যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালের ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের দোসর এই আওয়ামী লীগ মিথ্যা প্রতারণামূলক রাজনীতিরমাধ্যমে জনগণকে ধোকা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়। ভারত তাদের দোসরদের দিয়ে ধীরে ধীরে দেশের ব্যবসা—বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে।

২০০১ সালে ক্ষমতার পটভূমি পরিবর্তিত হলে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারত তাদের কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ হারায় কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় ২০০৮ সালে ভারত তাদের দোসর আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসার সুযোগ করে দিয়ে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা—বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। যা ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার অহিংস গণআন্দোলনের মুখে তাদের দোসর শেখ হাসিনাকে এই দেশ থেকে বিতাড়িতের মাধ্যমে জাতি নতুন করে ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ছাত্র—জনতার এই গণআন্দোলন অনেকটাই ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে এখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদী দোসরদের প্রেতাত্মারা বসে আছে। দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রশাসনের ঘাপটি মেরে থাকা ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের দোসরদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে একমাত্র এদেশ থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিতাড়িত হবে।

সভাপতির বক্তব্য বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের চেতনাকে লালন করে ভারতের প্রভাব মুক্ত রাজনীতি, আমাদের অধিকার পানির সমস্যার সমাধান, সীমান্ত হত্যা বন্ধ আমাদের অর্থনৈতিক আগ্রাসন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, বিচার বিভাগ, ব্যবসা—বাণিজ্য সহ রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভে ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে হবে যেন কোন অবস্থাতেই ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তা না হলে ৫ই আগস্টের নতুন স্বাধীনতার ফসল বিনষ্ট হবে। জাতি পুনরায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সর্বদাই প্রস্তুত আছি এ বিষয়ের সরকারকে সহযোগিতা করতে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উপদেষ্টা দুর্নীতি দমন আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, দেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এম সানোয়ার হোসেন, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার নির্বাহী সভাপতি রাশেদ প্রধান।

গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, গণমুক্তি পার্টি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনেম বাংলাদেশ নিজাম ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, এনডিপি মহাসচিব আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সোহেল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান সহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।