সরকারের মন্ত্রীরা সন্ত্রাসী ভাষায় হুমকি দিচ্ছে বিএনপিকে: ফখরুল
সরকারের মন্ত্রীরা ‘সন্ত্রাসী ভাষায়’ বিএনপিকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, কয়েক দিন ধরে সরকারের মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছেন। তারা এমন কথাও বলছেন, ছেঁকে ছেঁকে তোলা হবে। তাদের যে ভাষা, তা সন্ত্রাসী ভাষা। সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি উসকানিমূলক কথা বলছেন, একই সঙ্গে তারা উসকানিমূলক কাজও করছেন।’
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ডাকা ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যুবলীগের কর্মসূচি ছিল ২৪ জুলাই। আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর যুবলীগ তাদের কর্মসূচি ২৭ জুলাইয়ে নিয়ে গেছে। সংঘাতপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি করতে তারা এটা করেছে, তা পরিষ্কার। কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মহাসমাবেশ কিন্তু হঠাৎ করে আসেনি। গত ১৪-১৫ বছর ধরে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে ব্যবস্থা দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিল এবং সংবিধানে সেটা অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন করেছি, প্রতিটি আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। আপনারা দেখেছেন, আমাদের দুজন লোক নিহত হয়েছেন, ৯ হাজার মিথ্যা মামলা করেছে, তারপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, ভয়াবহ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি পরিহার করবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ এবং সরকার এটা নিশ্চিত করবে।’
মহাসমাবেশ থেকে কী বার্তা দিতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বার্তা একটাই—পদত্যাগ। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে।’
ফখরুল বলেন, যারা যুগপৎ আন্দোলনে নেই, তারাও পরিষ্কারভাবে বলছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এই দেশে এখন কোনো রাজনৈতিক দল অবশিষ্ট নেই, যারা মনে করে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।
মহাসমাবেশ করার জন্য স্থান বরাদ্দের অনুমোদন চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’
সরকারি কর্মকর্তাদেরও ‘জনগণের এই আন্দোলনে’ একাত্মতা প্রকাশের আহবান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বলার আগে সূচনা বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন