সরকার বস্ত্রখাতকে টেকসই ও যুগোপযোগী করতে কাজ করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, টেকসই ও যুগোপযোগী বস্ত্রখাত তৈরি করতে নানামুখী নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবিত করতে আয়োজন করা টেক্সটাইল খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী “ইনটেক্স সাউথ এশিয়া”-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভারতের বস্ত্র সচিব উপেন্দ্র প্রাসাদ সিং, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বস্ত্রখাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতিনিধিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বস্ত্রখাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোশাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এখাতের ব্যবসাকে সহজতর করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পোর্টের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সাশ্রয়ী বিশাল শ্রমশক্তি, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দক্ষ মানব সম্পদগুলোর সমন্বয় বস্ত্র ও পোশাকগুলো আরো দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমভাবে গড়ে উঠতে পারবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বস্ত্রখাতের আরো সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।