সরকার ভতুর্কি দিয়ে হলেও গ্যাসের দাম স্থিতিশীল রাখতে চায় : প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

গ্যাসের দাম বাড়বে কি না, তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সরকার ভতুর্কি দিয়ে হলেও দাম স্থিতিশীল রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (বিপু)।

সোমবার (১৪ মার্চ) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আগামী ২১ মার্চ দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা কয়লাভিত্তিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট, নির্মাণাধীন রয়েছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

আর ভবিষ্যতে শীত মৌসুমে বাড়তি বিদ্যুৎ রফতানির পরিকল্পনা আছে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। গত মাসের চেয়ে ১৫১ টাকা বাড়িয়ে চলতি মার্চ মাসের জন্য ১২ কেজির এক সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৯১ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইউক্রেন সংকটকে দায়ী করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধাবস্থায় দাম বাড়লেও চাহিদা মেটাতে কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশ্বস্ত করে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে দামের কথা জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আবার ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল ৬২ টাকা।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতে ১২ কেজি প্রতি সিলিন্ডারের দাম ৮৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২২৮ টাকা।

গত বছর নভেম্বরে এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ দশমিক ৪২ টাকা করা হয়। ফলস্বরূপ ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে ১ হাজার ৩১৩ টাকায় দাঁড়ায়।

অবশ্য তার আগে অক্টোবর মাসেই এ গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৮৬ দশমিক ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করা হয়েছিল। সে হিসাবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে ছিল ১ হাজার ২৫৯ টাকা।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরামকো কোম্পানির মূল্যতালিকায় দেখা যায়, গত জুন থেকে লাগাতার বাড়ছে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম। সেপ্টেম্বরে প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেন বিক্রি হয়েছে ৬৬৫ ডলারে। অক্টোবরে এসে একলাফে বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।