সাকরাইন উৎসবে নিষিদ্ধ হচ্ছে ফানুস-আতশবাজি
পৌষ মাসের শেষ দিন ‘পৌষ সংক্রান্তি’তে অনুষ্ঠেয় পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ তথ্য জানিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
১৪ জানুয়ারি এ সাকরাইন উৎসব উদযাপন করা হবে। মূলত পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
তবে এ বছর ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর (৩১ ডিসেম্বর, ২০২১) থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় ফানুস পড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটায় সাকরাইন উৎসব নিয়ে সতর্ক অবস্থানে যাচ্ছে পুলিশ। অনবরত আতশবাজির বিকট শব্দে নগরবাসীর ভোগান্তির কথাও বিবেচনায় আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাকরাইন উৎসবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তারা যাতে এমন উদযাপন না করে সেজন্য পুরান ঢাকার বিভিন্ন কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা কঠিন। আমরা পুরান ঢাকার সর্দারদের নিয়ে বসে এ বিষয়ে কথা বলব, এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এবার থার্টিফার্স্ট নাইটে ঢাকাবাসীকে ভুগিয়েছে ফানুস। এই উদযাপন শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে ঘটে যায় অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। একসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর হট লাইন নম্বরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, এসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটেছে ফানুসের কারণে। কয়েকটি আগুন আতশবাজির কারণেও লেগেছে।
এছাড়া আতশবাজির বিকট শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত তানজীম উমায়ের নামে ৪ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এই মৃত্যূর ঘটনা এবং একাধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটায় ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধের দাবি ওঠে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন