সাতক্ষীরায় চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আবারো চেতনানাশক ঔষধ স্প্রের পর দরজা ভেঙ্গে এক শিক্ষকের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনার গহনা সহ সাড়ে আট লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গত এক সপ্তাহ আগে পাশের গ্রাম কাপসন্ডা থেকে মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের বাড়ি থেকে একই ভাবে মালামাল লুট করা হয়।

পারিশামারী ধনীরাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চেউটিয়া গ্রামের মৃত মাওলানা গোলাম রহমান সরদারের ছেলে আঃ হাই সরদার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশের রুমে আমার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (৩৫) ও ছোট কন্যা মোব্বাশিরা খাতুন (২) একই খাটিয়ায় ঘুমাইয়া পড়ি। পশ্চিম পাশের রুমে আমার বৃদ্ধা মাতা সালেহা খাতুন ও আমার বড় কন্যা মোছাঃ মাহিরা খাতুন (৬) ঘুমায়। ভোর রাতে নামাজ পড়তে উঠে দেখতে পাই দরজা ভাঙ্গা ঘরের আলমারির জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। পরে স্থানীয় দের জানান তিনি।

শিক্ষকের স্ত্রী মাফুজা খাতুন জানান, চোরেরা ভিতরে প্রবেশ করে আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। চোরেরা বাড়ির সব কয়টি রুম তল্লাশি চালায়। চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রে করার কারণে ঘুম ঘুম ভাব লাগছে। চোখে ঠিক মত দেখতে পাচ্ছি না।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, শিক্ষকের বাড়িতে চুরি হওয়ার ঘটনাটি শোনা মাত্রই চলে এসেছি। শিক্ষক এবং তার স্ত্রীর কাছে সব কথা শুনলাম। দুর্বৃত্তদের ধরতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকের বাড়িতে একই কৌশল অবলম্বন করে বাড়ির মালামাল লুটের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চোরা আতঙ্ক বিরাজ করেছে।