বিরিয়ানির মালিক জরিমানা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘নওয়াব বিরিয়ানি’ খেয়ে অসুস্থ একই গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘নওয়াব বিরিয়ানি’ খেয়ে একই গ্রামের দু’শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫৬ জনকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া আরও কিছু ব্যক্তিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার রাতে কলারোয়া উপজেলার সিংহলাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জালালাবাদ ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দীন জানান, শনিবার দুপুরে জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল বাজারে আফতাব উদ্দিন মেম্বারের দোকানে ‘আগাতা’ নামের একটি ফিড কোম্পানির সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার শেষে অংশগ্রহণকারী ১৫০ জনকে কলারোয়ার নওয়াব বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ থেকে নিয়ে আসা বিরিয়ানির প্যাকেট দেয়া হয়। অধিকাংশ মানুষ সেই বিরিয়ানি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগাভাগি করে সেই বিরিয়ানি খান। সন্ধ্যার পর থেকে বিরিয়ানি খাওয়া ব্যক্তিরা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়া শুরু করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত ওই গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ পাতলা পায়খানা, বমিসহ পেটের পীড়া নিয়ে অসুস্থ হয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম, ‘রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই শতাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৮০জন রোগী ভর্তি আছেন। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অনেককে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিরিয়ানি রান্নার দীর্ঘসময় পরে বিতরণ করা হয়েছে বলে হয়তো খাবারটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় রবিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত নওয়াব বিরিয়ানির মালিক রবিউল ইসলামকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাশরুবা হোসেন অভিযুক্ত রবিউল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।’