সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাছের ঘেরের ভেঁড়িতে ক্ষিরাই চাষে সাফল্য
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাছ চাষের ঘেরের আইলে তথা ভেঁড়িতে ক্ষিরাই ও শষা চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন আব্দুল করিম নামে এক কৃষক।
সে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের মৃত.নজিবুল্লাহ ছেলে।
তিনি জানান, উপজেলার বাটরা গ্রামের পূর্বের বিলে আব্দুল করিম ১২বিঘা জমিতে সাদা মাছ চাষের জন্য ঘের করেন গত ৪বছর আগে। এর পরে তিনি ওই ঘেরের আইলের বা ভেঁড়ির কিছু অংশ ব্যবহার করে নিজ উদ্যোগে ক্ষিরাই চাষ শুরু করেন। গত বছর সেই ক্ষিরাই বিক্রয় করে তিনি ব্যাপক ভাবে লাভবান হয়েছে। সে কারণে এবছর তিনি ১২ বিঘা জমির ঘেরের আইলে এবার ৪২ হাজার টাকা খরচ করে ক্ষিরাই চাষ করেছেন। গত এক সপ্তাহে তিনি ওই ঘের থেকে ৩০হাজার টাকার ক্ষিরাই বিক্রয় করেছেন।’
কৃষক আব্দুল করিম আরো জানান, ‘তার নিজের ৩বিঘা জমি রয়েছে। বাকী ৯বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ ও ক্ষিরাই চাষ শুরু করেছেন। মাছ চাষের ঘেরে ক্ষিরাই চাষ করে তিনি ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ঘেরে ৪২ হাজার টাকায় ক্ষিরাই চাষ করে মাত্র এক সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকার ক্ষিরাই বিক্রয় করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগাসি দুই মাসের মধ্যে তিনি তার ক্ষেত থেকে ৫ থেকে ৬লাখ টাকার মতো ক্ষিরাই বিক্রয় করবেন বলে আশাবাদি। তিনি আগস্ট মাস থেকে ক্ষিরাই বিক্রয় শুরু করেছেন আর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত এগুলো বিক্রয় করতে পারবেন। এখন প্রতিদিন ১শ ৮০ কেজি ক্ষিরাই উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘তার এই কাজের জন্য কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সহযোগিতা না করলেও তার দুই ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও জুবায়ের হোসেন সহযোগিতা করছেন। এই মাঠ থেকে সরাসরি ঢাকায় ক্ষিরাই যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ১৭ টাকায় বিক্রি করছেন। তার মাছের ঘেরের ক্ষিরাই চাষ দেখে অন্য চাষীরা এখন প্রায় ৬/৭ হাজার বিঘা মাছের ঘেরের আইলে ক্ষিরাই চাষ শুরু করেছেন। এটা তার জন্য ভালো লাগছে।’
সরেজমিন দেখা গেছে শুধু ক্ষিরাই চাষ না, বাটরার মাঠে লাভজনক ব্যবসা গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষও হচ্ছে।
এলাকার কৃষকরা বলেন, ‘সরকারি ভাবে সহযোগিতা পেলে এখানকার চাষীরা মাঠের পার মাঠ সবজি চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারেন।’
এজন্য চাষীরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন