সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সজনেডাটার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
‘কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা’।
কবির কবিতায় প্রাণ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য্য আমাদের চোখে ধরা দেয়। সজনে ডাটা, ফুল নিয়ে আমাদের কাব্য ও সাহিত্যে অনেক কথায় লেখা হয়েছে। আমাদের গ্রাম বাংলার সর্বত্র সজনে, সজনের পাতা ও ফুল নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার। সজনে গাছের ছাল ও পাতা ঔষধি হিসেবে ব্যবহারও বহুল পরিচিত।
বিনা পরিশ্রমে শুধু একটি ডাল সংগ্রহ বাড়ির আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে লাগিয়ে রাখলেই কিছু দিনের মধ্যেই গাছ বড় হয়ে যায়। দেখতেও সজনে গাছ খুবই দৃষ্টিনন্দন।
সজনে গাছের অতুলনীয় গুণ বিষয়টি বিবেচনা করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়িন ও ১টি পৌরসভার সব অঞ্চলে শত শত সজনে ডাল রোপণ করে নিজ বসতবাড়িতে।
এদিকে, উপজেলার দেয়াড়া ঘোষ পাড়ার সিংহভাগ বাড়িতে সজনে চাষ করে থাকে। বাকী যে পরিবারগুলোতে সজনে গাছ নেই, গত বছর সেই পরিবারগুলোতেও সজনে গাছ লাগানোর জন্য এলাকার কৃষক, যুবক ও শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে গ্রামের মানুষের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। যাদের বাড়িতে সজনে গাছ আছে সেখান থেকে ২টি ডাল সংগ্রহ করে যাদের বাড়িতে নেই সেখানে রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সজনে ডাটা ঔষধে গুনে ভরা একটি সবজি।
তিনি সজনে ডাল লাগানো কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করতে এলাকার তরুন, যুবক ও কৃষকদের সাথে সজনে গাছ এর গুণাগুণ ও সজনে খাওয়ার গুরুত্বারোপ করেন।
গয়ড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এক প্রতিবেশির কাছ থেকে একটা সজনে ডাল নিয়ে আমার বাড়ির আঙিনায় রোপন করি। সেখান থেকে প্রতিবছর সজনে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ।
অনেকে বলেন, ‘সজনে বা সাজিনা পাতা ৩০০ রকম রোগ প্রতিরোধ করে। এই ছোট্ট পাতা অবিশ্বাস্য মাত্রায় পুষ্টিকর, যা আমাদের শরীরকে মজবুত করতে পারে।’
তারা বলেন, ‘যেকোন খাবারের সাথে বা তরকারীর সাথে তাজা বা শুকনা সজনে পাতা মিশিয়ে খাওয়া যায়। পাতা শুকিয়ে রাখা যায়। প্রতিদিন ৬-৭ টি পাতা খেলে স্বাস্থ্যর উন্নতি হয়। সজনে ছাল, পাতা, ডাটা, ফুল ও বীজ পুষ্টি ও ঔষুধি হিসেবে কাজ করে। তাই এক কথায় বলায় যায়, সজনে হলো পুষ্টি আধার।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন