সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর দা’র কোপে স্ত্রীর মাথা বিচ্ছিন্ন, পালাতে গিয়ে স্বামী আটক

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর ধারালো দা’র কোপে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে স্ত্রী নিহত হয়েছে। পলায়নকালে খুনি সেই স্বামী আব্দুল আলিমকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের শাহাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৮) এর সাথে তার ৭ বছরের বিবাহিত স্ত্রী নাজমা খাতুনের (৩৬) পারিবারিক অশান্তিতে ঝগড়াঝাঁটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী আব্দুল আলিম রাগান্বিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী নাজমা খাতুনের গলায় কোপ মারে। এতে স্ত্রীর মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যু বুঝতে পেরে খুনি স্বামী আব্দুল আলিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাজীরহাট বাজারে জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে আটক করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল হোসেন জানান, খুনি আলিম নিহত মহিলার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। নিহতের প্রথম পক্ষের ২ ছেলে ও দ্বিতীয় পক্ষের খুনি স্বামীর ১ কন্যা (৫) সন্তান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, হত্যাকারারী পরিবারে অতীতে এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্ত জনমনে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীর ঘাড়ে দা দিয়ে ৩-৪টি কোপ দেয় স্বামী আব্দুল আলিম। শরীর থেকে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপর আব্দুল আলিম যাত্রীবাহী বসে পালিয়ে যাচ্ছিলো। খবর পেয়ে কাজিরহাট এলাকা থেকে বাস থামিয়ে আসামি আব্দুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে, নিহতের ছেলে বাবু সরদার জানান, সকাল থেকে বাবা-মা ঝগড়া করছিলো। কি নিয়ে ঝগড়া করছিল সেটি জানি না। মা সকালে রান্না করেনি। পরে আমি রুটি কিনে দিয়ে আসি। বাবাকে বলি, তুমি রুটি খেয়ে কাজে চলে যাও। তখন দাদী বাবাকে বলছিলো- তুই যদি তোর বউকে না মারিস তবে আগের মতো ভাইপোদের দিয়ে তোকে মার খাওয়াবো। পরে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মা ঘরে শুয়ে ছিলো। বাইরে গিয়ে মায়ের ফোনে কল দিলে আর ফোন ধরেনি। বাড়িতে ফিরে এসে দেখি, মা’কে জবাই করে মেরে ফেলেছে বাবা। দাদীর কথা শুনে মাকে মেরেছে বাবা।