সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বোনকে হত্যার ঘটনায় ভাই, ভাইপো সহ আটক ৩

আনজু আরা বেগম (৪০) নামে ১ মানসিক ভারসাম্যহীন বিধবা বোনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাই, ভাইপো সহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ৯ টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পূর্ব পানিয়া শেখ পাড়া এলাকায়।

নিহত আনজু আরা বেগম পূর্ব পানিয়া গ্রামের মৃত আহসানুল্লাহ এর মেয়ে এবং শ্যামনগর উপজেলার মৃত নজরুল হাওলাদারের স্ত্রী।

পুলিশের হাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলো নিহত বিধবার ভাই আব্দুল মজিদ(৫৭) তার ছেলে আবু হাসান(৩০) এবং অপর ভাই আব্দুল আলীমের ছেলে আজিজুর রহমান(২৪)।

ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে বেলা ১ টার সময় থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এবাদ আলীর নেতৃত্বে উপ পরিদর্শন মোরশেদ আলী, শাহাদাৎ আলী, মিলন, আশিস ও নকিব পান্নুসহ ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

তবে ওই সময় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় লাশের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

পূর্ব পানিয়া গ্রামের মাসুদ, হামিদ ও জাহিদসহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায়, নিহত বিধবা আনজু আরা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় প্রায় মানুষের সঙ্গে মাঝে মাঝে দা ছুরি হাতে নিয়ে মারার জন্য উদ্যত হতো। (রবিবার সকাল ১০টার সময় আনজু আরা বেগম হাতে ছুরি নিয়ে মারতে উদ্যত হয় ওই সময় তার ভাই আব্দুল মজিদ এবং ভাইপো হাসান আলী বাধা দেয়। পরে তাকে পিটাতে পিটাতে ঘরের ভিতরে আটকে রাখে পরে সেখানেই তার মৃত্যু দেহ পাওয়া যায়)।

তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা ধাবাচাপা দেওয়ার জন্য তার ভাই আব্দুল মজিদ এবং ভাইপো হাসান মিলে দ্রুত কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার এক’ মাত্র পুত্র জাহিদ হোসেন লেপ তোষকের কাজ করতে বাহিরে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইবাদ আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহত আঞ্জুমান আরা বেগমের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতে চিহ্ন থাকায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দূষিতের বিরুদ্ধে মামলা এবং
আটক করা হবে।