সাতক্ষীরার তালার অপু মন্ডলের গলদার রেণু উৎপাদন করে ভাগ্য খুলল
মাটির পুকুরে গলদার রেণু উৎপাদন করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনকারী অপু মন্ডল এখন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকার সুপরিচিত একটি নাম। তার বাড়ি তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের দলুয়া গ্রাম।
জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন’র (পিকেএসএফ) অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় এবং সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস) কর্তৃক বাস্তবায়িত Promoting Agricultural Commercialization and Enterprises (PACE) প্রকল্পের আওতায় মাটির পুকুরে গলদার পিএল (রেণু) উৎপাদন পাইলটিংটি এর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্যোগের সারথি হয়ে অপু মন্ডল ৪ শতাংশ মাটির পুকুরে ডিমওয়ালা মা গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেন। এবং পেইজ প্রকল্পের ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট’র টেকনিক্যাল গাইডলাইন ও ম্যানেজার আল-ইমরান, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিএম হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম সংঘটক শাহ আলম, ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর বাবু কুমার রায়, সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মো. আবু জাহিদ, পরামর্শক সঞ্জয় সরকার, এভিসিএফ মো. মমিনুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর, হিসাবরক্ষক মো. সাইদুর রহমান এর দক্ষ মনিটারিং এবং সাসের নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপু মন্ডলের পাইলটিংটি সফল হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাটির পুকুরে গলদার রেণু (পিএল) উৎপাদন উদ্যোগটি অত্র এলাকার চাষিদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এর ফলে চাষিদের হ্যাচারী বা নদীর পোনার উপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। চাষিরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় পিএল (রেণু) নিজস্ব ঘেরে বা পুকুরে উৎপাদন করতে পারবে এবং রেণু প্রাপ্তিতে যে দুর্ভোগ হতো তার লাঘব হবে। চোরাই পথে ভারত থেকে আসা নিম্নমানের গলদার রেণুর আধিক্য কমবে। উপযুক্ত পরিবেশে এই নতুন প্রযুক্তি সারা বছর ব্যবহার করা যাবে। ফলে গলদার উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে বিশ্ববাজারে। সেই সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃৃদ্ধিশালী হবে এবং বেকারত্ব কমবে।
মাটির পুকুরে গলদার রেণু উৎপাদন সম্পর্কে উদ্যোক্তা অপু মন্ডল জানান, প্রথমে লাভ বেশি হওয়ায় বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলতি বছরে টানা ২ মাসের পরিশ্রমের ফলাফল সন্তোষজনক। সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস) থেকে একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে ৪ শতাংশ মাটির পুকুরে গলদার রেণু উৎপাদন শুরু করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখতে সম্প্রতি মাটির পুকুরে ডিমওয়ালা মা গলদা চিংড়ি মজুদ করেছি। এর ৩৪ দিন পর গলদার পিএল (রেণু) সনাক্ত করা হবে। সম্প্রতি আমার পুকুরে ৪০-৫০ হাজার গলদার পিএল (রেণু) উৎপাদন সম্ভাবপর হবে। সকলের সহযোগিতায় এই ইতিবাচক ফলাফলের জন্য পিকেএসএফ ও সাসসহ টিমের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন