সাতক্ষীরায় প্রকাশিত খবর নিয়ে আবু আহমেদের প্রতিবাদ ও বিবৃতি


মঙ্গলবার (৬ জুলাই) কয়েকটি প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে সাতক্ষীরার রসুলপুরে ভূমি দখল নিয়ে যে খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি একটি মহল ওই জমি দখলের লক্ষ্যে আমাকে জড়িয়ে যে মানববন্ধন করেছে তাও মিথ্যা, অযৌক্তিক ও কল্পনা প্রসূত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
আমি এ বিষয়ে প্রচারিত, প্রকাশিত খবর এবং কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে আমি গনমাধ্যম কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট করারও আহবান জানাচ্ছি।
প্রকৃত বৃত্তান্ত এই যে, কাশেমপুর মৌজার ৫৯ শতক জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সুতরাং এ সম্পর্কে এই জমি কার কিংবা কার দখলে আছে অথবা কে দখল করতে চায় তা নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল বলে আমি বিশ্বাস করি। উক্ত জমির মালিকানা বিরোধ নিয়ে আমার কাছে জমির ডিএস বনিয়াদে মালিকদের ক্রম ওয়ারেশ গনের (সবাই ভূমিহীন ভ্যান চালক) পক্ষে কিছু লোক সাক্ষাত করতে আসেন এবং একটি শালিস মীমাংসার ব্যবস্থা করতে বলেন। একই কারনে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হাজ্জাজ মাহমুদ আমার অফিসে আসেন।
আমি তাদেরকে স্পষ্ট ভাষায় বলি, বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন সেহেতু এ নিয়ে শালিস করা এবং কোন মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর তারা চলে যান। যে যার মত আইনী লড়াইয়ে তারা অবতীর্ন হন। প্রকৃতপক্ষে এই জমির ক্রয় বিক্রয়, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কিংবা মালিকানা মালিকানা হস্তান্তর অথবা দখল এ জাতীয় কোন ঘটনার সঙ্গে আমি আদৌ সম্পৃক্ত নই। সুতরাং ওই ভূমি দখল কিংবা কথিত চঁাঁদাবাজির প্রশ্নই ওঠে না। এসব ঘটনার দায়দায়িত্ব আমার নয়।
সবার জ্ঞাতার্থে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই একজন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দীর্ঘদিন যাবত দেশের ভূমিহীন, ভূমিবঞ্চিত, দরিদ্র, অধিকারবঞ্চিত মেহনতি মানুষ ও শ্রমিক শ্রেনীর অধিকার আদায়ের কাজের সঙ্গে আমি বরাবরই জড়িত ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকবো। কোন পক্ষকে আইনসঙ্গত ভিত্তিতে নীতিগত সমর্থন দেওয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব।
এতে আমি কার রোষানলে পড়লাম আর কে খুশী হলো সেটি আমার দেখার বিষয় নয়। আমি সেই ব্রত নিয়ে দীর্ঘকাল দরিদ্র মানুষের পক্ষে নৈতিকভাবে এবং আইনসঙ্গতভাবে কথা বলেছি। আগামীতেও এর থেকে আমি নিজেকে বিচ্যুত করবো না। বরং সর্বাত্মক চেষ্টা দিয়ে মানুষকে তার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আইনসঙ্গতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবো।
আমার এই প্রতিবাদ ও বিবৃতি নিজ নিজ গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন