সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী মেয়ের লেখাপড়া চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা..
সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধী মেয়ের পড়াশুনার খরচ নিয়ে দুঃচিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে মা মাশকুরা খাতুন। জীবনের ২০টি বছর পেরিয়ে গেলেও অন্যদের মত স্বাভাবিক না শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরাইয়ার খাতুন।
এদিকে, সুরাইয়ার পড়াশুনা ও সার্বিক খরচ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে তার মা। বছরের চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পাঠ্যবই কিনতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সুরাইয়া খাতুন।
সুরাইয়া খাতুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদারী ইউনিয়নের নারায়জোল গ্রামের তাঁর বাবা নুর ইসলাম মেয়ে। সুরাইয়ার জন্মের পর থেকে আরেকটি বিয়ে করে অন্য জায়গায় চলে যায়।
এদিকে, সুরাইয়া খাতুন বর্তমান শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সুরাইয়া জন্মে থেকে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকেই দুই পা বাঁকা। সেই বাঁকা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করে। ২০২২ সালে এস এস সি পরীক্ষায় বিকে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৩.২২ পেয়েছে সে। সেই মেয়ের এখন পড়ালেখা চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মা।
সুরাইয়ার মা মাশকুরা বলেন, টাকার অভাবে মেয়েকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। অন্য কারোর সহায়তাও পাচ্ছি না। আমার কাজের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তারপরও কষ্ট করে মেয়েটাকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। সে বড় হয়ে যেন তার দিক থেকে মানুষের কল্যাণ করতে পারে।’
শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি নিজের ইচ্ছে শক্তি ও মেধায় এ পর্যন্ত এসেছে। মেয়েটি আরও পড়তে চায়। আমাদের দিক থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর হোসেন মিলন বলেন, সুরাইয়া অত্যন্ত মেধাবী ও দুর্গম মনের মেয়ে। সহজে সে ভেঙ্গে পড়ে না। তা আমরা দেখে আসছি। অনেক যুদ্ধ করে সুরাইয়ার-মা তাকে পড়ালেখা করিয়ে আসছে। আমরাও যতটুকু পারি সুরাইয়াকে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু আমাদের সবকিছুতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে আগামীতে তার পড়ালেখার খরচ চালানোর জন্য দেশের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন