সাপ্লায়ারদের সম্মাননা দিল হুয়াওয়ে বাংলাদেশ
হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে নেপাল ও বাংলাদেশের সাপ্লায়ারদের সৌজন্যে পার্টনারস কনভেনশন ২০২২ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এই আয়োজনে ৯০ টি সাপ্লায়ার অংশগ্রহণ করেন যাঁদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পণ্য ও সেবা নিয়ে থাকে হুয়াওয়ে। এসব সাপ্লায়ারদের মধ্যে ২০২২ সালে অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার স্বীকৃতি হিসেবে ২৩ জন সাপ্লায়ারকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও সাপ্লায়ারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে ও
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে পার্টনারস কনভেনশন ২০২২ আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সাপ্লায়ারদের সাথে প্রকিউরমেন্ট রুলস (কেনাকাটার নিয়মাবলী) ও পণ্যের গুণগত মান নিয়ে আলোচনা কিংবা বিশেষণ করার সুযোগও তৈরি করে এই প্লটফর্ম।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের সিইও প্যান জুনফেং; সিএফও শেনঝাওহুই; ডেলিভারি ও সার্ভিসেস বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট উঝিকিয়ান; হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রকিউরমেন্ট কোয়ালিফিকেশন বিভাগের পরিচালক ওয়েইবিন চলতি বছরের বিভিন্ন ফলাফল তুলে ধরেন; পাশাপাশি, সাপ্লায়ারদের জন্য আগামী বছরের নির্দেশিকাও উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে উঝিকিয়ান বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছে। আমাদের নির্ভরযোগ্য সহযোগীদের অবদানের কারণে গত কয়েক বছরে আমাদের এ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রত্য্যাশা আরো বড় পরিসরে সাফল্য অর্জনের জন্য আগামী বছরগুলোতে আমাদের সহযোগীরা তাদের সমর্থন প্রদানের বিষয়টি অব্যাহত রাখবে।”
অনুষ্ঠানে শেনঝাওহুই বলেন, “হুয়াওয়ে গত ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও নেপালে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা ও পণ্য সহায়তা প্রদান করছে। এ সময় হুয়াওয়ে সরকারি কোষাগারে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রাজস্ব প্রদান করেছে, স্থানীয়ভাবে ১০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য কিনেছে এবং এ দুইটি দেশে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।” এ সময় প্যান জুনফেং সাপ্লায়ারদের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে দক্ষতার সাথে সেবা ও গুণগত পণ্য প্রদানের নির্দেশনা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই বিষয়গুলোই আরো বড় পরিসরে সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হতে পারে। হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধিতে স্থানীয় ও বৈশ্বিক যেসব অংশীদার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদের ভূমিকাকে তুলে ধরতে হুয়াওয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান সকল অংশীজনদের একটি একক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে ও একসাথে কাজ করতে সহায়তা করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন