সামনে পড়ে গেলে মুহূর্তে সাবাড়! সর্বভুক এই প্রাণী সত্যিই ভয়ঙ্কর, তাজ্জব বিজ্ঞানীরা
বিকটদর্শন এই প্রাণীটিকে দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। এর বিকট চোয়াল সত্যিই ভয়ঙ্কর। শিকারি এই প্রাণী কতটা বিপজ্জনক তা এর চোয়াল দেখলেই মালুম হয়।
সভ্যতার প্রথম থেকেই মানুষের ইচ্ছে ‘দেখব এবার জগৎটাকে’। কিন্তু এত বছরের গবেষণার পরেও পৃথিবীর বিপুল জীবজগতের বৈচিত্র্য়ময় সম্ভারের সবটুকু মানুষের গোচরে এসেছে জোর দিয়ে বলা যায় না। এই দুর্দান্ত শিকারি প্রাণীটির কথাই উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়। এর অস্তিত্ব বহুদিন পর্যন্ত মানুষ জানত না।
বিকটদর্শন এই প্রাণীটিকে দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। সমুদ্রের তিন হাজার ফুট নীচে পাওয়া যায় একে। নাম ইউলাগিসকা। আন্টার্কটিক মহাসাগরের তলদেশে এই সৃষ্টিছাড়া প্রাণীটির বাস।
ছবি দেখলে মনে হতে পারে হলিউডের ছবিতে দেখানো ভিনগ্রহী কোনও প্রাণী! এমনই অদ্ভুত শারীরিক গড়ন এর। যেন দুঃস্বপ্নে দেখা কোনও জীব।
শরীরে রয়েছে নানা পাতলা আস্তরণ। সমুদ্রের তলায় অবস্থিত পাথরের গায়ে আটকে বা বালির ভিতর লুকিয়ে থেকে শিকারের জন্য় ওত পাতে এই ইউলাগিসকা। শিকার ধরার পরেই আবার শিকারের জন্য় ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই লোভী প্রাণী। খাবারের ব্যাপারে কোনও বাছবিচার নেই এর। যা সামনে মেলে তাকেই উদরস্থ করে ফেলে! যা দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা একে ‘এলিয়েন ওয়ার্ম’ বলে ডাকে। বহুদিন পর্যন্ত এমন আশ্চর্য প্রাণীটি অনাবিষ্কৃতই ছিল। সন্ধান মেলার পরেও অনেকদিন লেগে গিয়েছিল এর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে। এর বিকট চোয়াল সত্যিই ভয়ঙ্কর। শিকারি এই প্রাণী কতটা বিপজ্জনক তা এর চোয়াল দেখলেই মালুম হয়।-এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন