সার্চ কমিটির প্রধান হয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান যা বললেন

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষে সার্চ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর শনিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সার্চ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

সার্চ কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে ওবায়দুল হাসান বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পক্ষ থেকে আমার ওপরে এবং এই কমিটির ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন- আশা করি, সংবিধান এবং আইনের আলোকে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারব।

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে (রোববার) থেকেই কাজ শুরু করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সার্চ কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ তো সব কাজেই আছে। চ্যালেঞ্জ থাকবে, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আশা করি ১০ জন নিরপেক্ষ নাম বেছে রাষ্ট্রপতির কাছে দিতে পারব সময়ের মধ্যেই।

বিগত ইসি নিয়ে নানা বিতর্ক আছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল হাসান বলেন, মানুষের মূল্যায়নটা হয় তার কাজের মধ্য দিয়ে। আমরা ১০ জনের নাম দেব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে ৫ জনকে মনোনয়ন দেবেন। তারা যখন কাজ করবেন তখনই বুঝতে পারবেন তারা যোগ্য কি, অযোগ্য। কারো দৃষ্টিতে কেউ যোগ্য, আবার কারো দৃষ্টিতে অযোগ্য। এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা চেষ্টা করব সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকেই মনোনীত করতে, করবও আশা করি। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে ৫ জনকে নিয়োগ করবেন।

সার্চ কমিটি কাজ শুরু বিষয়ে জানতে চাইলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এখনো বলতে পারছি না। আমার সহকর্মীদের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগই হয় নাই। কেবিনেট সেক্রেটারির (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) সঙ্গে কথা বলব। কথা বলে চেষ্টা করব, আগামীকাল (রোববার) থেকেই কাজ শুরু করা যায় কিনা।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে। ইসি গঠনে নতুন আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর সরকার (শনিবার) সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করতে হবে।