সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়নি : প্রতিমন্ত্রী
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গ্যাস উৎপাদন বন্ধ থাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহের বন্ধের সিদ্ধান্ত হঠাৎ হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানিয়ে এসেছি যে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সার্ভিসিং হবে। ঈদের আগে থেকে আমরা সবাইকে জানিয়ে আসছি, পেপারেও দিয়েছি।’
ঈদের ছুটি শেষে বুধবার সচিবালয়ে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা বেশিক্ষণ নয়, ২৪ ঘণ্টার জন্য; গতরাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২ পর্যন্ত।’
গত রাত ১২টা থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলেও গ্রাহকরা বিষয়টি সেভাবে জানতেন না। গাড়ি নিয়ে বহু মানুষ ফিরে গেছে স্টেশন থেকে। আবার টেলিভিশন স্ক্রলে সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর বন্ধের আগে আগে স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়, এদের সবাই গ্যাস পায়নি।
গ্যাস নিতে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে বুধবার সকালেও। তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কথা তারা জানতেন না। এ কারণে তেলের পাম্পগুলোতে চাপ বেড়েছে। তবে গ্যাস না থাকায় জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে গাড়ি মালিকদের।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীও বলছেন, ‘যেসব গাড়ি সিএনজিতে চলে, সেগুলো তেলেও চালানো যায়। ফলে বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
বিবিয়ানা বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়েছে বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তবে ঈদের ছুটি শেষে স্বাভাবিক ব্যবস্তা শুরু না হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কম বলে তেমন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে। তবে আমি দেখেছি, গ্যাসের কারণে পাওয়ারের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন যে অবস্থা আছে, ৫০০ থেকে ৬০০ এমসিএফ কমে গেছে বোধ হয়। বাট আমরা স্টেবল আছি। সব জায়গায় আমরা পাওয়ার ঠিক মতো দিতে পারছি। কারণ আমাদের হাতে কিছু রিজার্ভ ছিল। সেটা দিয়ে আমরা মোটামুটি কভার দিয়েছি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন