সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়রের উপর হামলা: দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা ও তার শিশু পুত্র-কর্মচারীসহ সাংবাদিক মারপিটের ঘটনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বেলকুচি বাসি। বেলকুচি পৌরবাসীর ব্যানারে শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পৌর এলাকার চালায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ শেষে মুকুন্দগাঁতী বাসস্ট্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মেয়রের বড় ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা‌ ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের নব্য ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক সরকারসহ আরও অনেকে।

বক্তারা অবিলম্বে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আব্দুল মমিন মন্ডলের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) সেলিম সরকার ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে পৌর এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। একই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে এমপির ব্যক্তিগত সহকারি সেলিম ও ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার দুপুরে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। ‌

সন্ধ্যায় বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, মামলাটি ইতিমধ্যেই দ্রুত বিচার আইনের ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে, যার নম্বর ১২। মামলা দায়েরের পূর্বে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন , উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন প্রামানিকের ছেলে শাকিল প্রামানিক (২৪), একই গ্রামের আব্দুল মজিদ প্রামানিকের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৯) ও শেরনগর গ্রামের আব্দুল হাই সেখের ছেলে জাফর সেখ। বাকি আসামিদেরও খুঁজছে পুলিশ।

এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা ও তাঁর ৩ বছর বয়সী শিশু সন্তান ফারিয়েল হক অস্তিত্ত, স্থানীয় সাংবাদিক আবু মুছা, মেয়রকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক সাব্বির সরকার ও সহকর্মী নাবিল মন্ডল আহত হন।

এর কিছুদিন আগে ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব ও বিদ্যালয়ের আর্থিক আয় ব্যয়ের হিসাবের নয়ছয়ের অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেয়র রেজার বিরুদ্ধে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড বরাবর অভিযোগ দেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারি সেলিম।

ওই ঘটনায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি টিম বৃহস্পতিবার তদন্তে আসেন। তদন্ত চলাকালীন সময়ে মেয়রকে হামলা চালান পিএস সেলিমসহ তার বাহিনী।‌