সিলেটের আকাশ পথে বিমানের ছোঁয়ায় পদে-পদে হয়রানী
সিলেটের আকাশ পথে বিমানের ছোঁয়ায় পদে পদে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বিমানের সিলেট-ঢাকা রুটে টিকেট সংকট দেখা দিয়েছে। টিকেট পাওয়া গেলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াত করা যাত্রীরা। এর জন্য আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট গুলো ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের পরিবহন না করাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে এ রুটে টিকেটের সংকটের পাশাপাশি দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তারা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারী) বিকালে ইউএস বাংলা ও বিমানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ১৮ জানুয়ারি সিলেট-ঢাকা রুটে বিমান এয়ারলাইন্সের ভাড়া ভাড়া ওয়ানওয়ে ৭ হাজার ৩০০ টাকা, ইউএস বাংলার ভাড়া ৮ হাজার ৬২৩ টাকা। ১৭ জানুয়ারী বিমানের ভাড়া ১৪ হাজার ১০৫ টাকা, ইউএস বাংলার ভাড়া ৮ হাজার ৬২৩ টাকা, নভো এয়ারের ৬ হাজার ৪৬৮ টাকা।
সংশ্লিষ্ট বিমান কোম্পানীর ওয়েবসাইটে তাদের আকাশ ছোঁয়া টিকেটের মূল্য শোভা পেলেও খালি আসন সংখ্যা কম দেখাচ্ছে। ফলে ব্যাধ্য হয়েই যাত্রীদের উচ্চমূল্যে টিকেট সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
সিলেটের ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট-ঢাকা বিমান রুটে টিকিটের চাহিদা ব্যাপক। তাই এ রুটে বোয়িং বিমান চালু করা জরুরি। সিলেট-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার এই তিনটি এয়ারলাইন্সের বিমান আসা-যাওয়া করে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন করে কূল পাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় এক মাসের অধিক সময় ধরে বিমানের বোয়িং-এ করে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সুযোগে বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি বিমান অপারেটর গুলোও তাদের টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় সময়ই সাড়ে ৩ হাজার টাকার টিকিট কিনতে হয় ৫-৭ হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ বিমানের জেলা ব্যবস্থাপক মনসুর আহমদ ভুঁইয়া জানান, বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ওসমানীতে আসা ফ্লাইট গুলো ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী পরিবহন করতো। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত বছরের ১ ডিসেম্বও থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট গুলো ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের পরিবহন করছে না। এ কারণে এ রুটে টিকিটের কিছুটা সংকট চলছে। দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বোয়িংয়ে যাত্রী পরিবহন করা গেলে এ সংকট থাকবে না বলে মন্তব্য এই কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলো ফের কবে থেকে যাত্রী নেয়া শুরু করতে পারে এ ব্যাপাওে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা তার কাছে নেই, তা কেবল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলতে পারেন বলে জানান তিনি।
বিমানের অন্য একটি সূত্র জানায়, প্রতি সপ্তাহে ওসমানী বিমানবন্দও থেকে সিলেট-হিথ্রো ৪টি, সিলেট-ম্যানচেস্টার ৩টিসহ দুবাই-শারজাহ জেদ্দা মিলিয়ে মোট ১৫টি ফ্লাইট অপারেট হয়। ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত এসব ফ্লাইটে অভ্যন্তরীণ রুটের প্রায় ৫ হাজার যাত্রী অপারেট করা যেতো। প্রতিটি বোয়িংয়ের ধারণ ক্ষমতা ছিল সাড়ে ৩শ’। বর্তমানে ড্যাশ-৮ ও এটিআরসহ যেসব ফ্লাইট অপারেটর হচ্ছে, সেগুলোর যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬০-৬৫ জন। যে কারণে এ রুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন