সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যার এক স্বাক্ষীকে জেরা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/10/sylhet-2-4.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার স্বাক্ষীর জেরা করেছেন আদালত। (১২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার জেরা করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আল মামুনকে। মামলার ৬৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৬ জন সাক্ষ্য গ্রহণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়হান হত্যা মামলার বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যরিস্টার মোহাম্মদ আবুল ফজল চৌধুরী।
সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে ইতোমধ্যে। ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) সকালে তিনি মারা যান।
পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছিল। মামলার তিন বছর পর সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। তবে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আগে আসামিরা মামলা আপস করতে ৫০ লাখ টাকার লোভ দেখিয়েছে রায়হানের পরিবারকে এমন অভিযোগ মা সালমার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ- ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর (দিবাগত) মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে। তারা ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো.হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। গত বছরের ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার ৬৯ জন স্বাক্ষীর মধ্যে রায়হানের মা সালমা বেগম, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় সর্বশেষ সাক্ষ্য দিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এর বিচারক শারমিন খানম।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন