স্থগিত চান জাপা ও বাসদ প্রার্থী
সিলেটে পুনঃনির্বাচনের দাবি বিএনপি প্রার্থীর
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
সোমবার দুপুর দেড়টায় রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আলীমুজ্জামানের কাছে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় আরিফ অভিযোগ করেন, জালভোট, কেন্দ্র দখলসহ শাসক দলের জবরদস্তির কারণে ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোট চুরি হয়েছে ৪০ কেন্দ্রে। এসব অভিযোগে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। দুপুরে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চার কাউন্সিলর প্রার্থী। এ ব্যাপারে তারা নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
এ কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন রেডিও প্রতীকের সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের ফজলে এলাহী রাব্বী চৌধুরী, ঘুড়ি প্রতীকের মোহাম্মদ দিদার হোসেন ও লাটিম প্রতীকের মোহাম্মদ আবু জাফর।
উল্লেখ্য, সকাল ৮টায় নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি ভোট দেয়ার পর অভিযোগ করেন রাতে ভোট জালিয়াতির। কিন্তু তার এমন অভিযোগ মিথ্যাচার বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
এর পর আরিফ অভিযোগ করেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দুশাহ দাখিল মাদ্রাসা এবং এমসি কলেজকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।
পরে সাংবাদিকদের আরিফুল বলেন, আমি এখনও আশাবাদী যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয়, ফল পাল্টে দেয়া হয়; তবে রাজপথ ছাড়ব না, প্রয়োজনে শাহাদাত বরণ করব।
এদিকে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের অভিযোগ করেন, তার ঘড়ি প্রতীকের এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বের করে দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন