সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ভারতের জন্য লজ্জাজনক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনাকে ভারতের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। চলতি মাসে সিলেট ও লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে চার বাংলাদেশি নিহতের ঘটনার পর মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য এলো।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে দুই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে কেউই যাতে মারা না যায়। এতো কিছুর হওয়ার পরও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এটি বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক।
গত ৩ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হন। সেদিন দুপুরের দিকে উপজেলার ডোনা সীমান্তের ৩১ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন- কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামের নকিব আলীর ছেলে আসকর আলী ওরফে আছই (২৫) ও একই গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২২)।
এর এক সপ্তাহ পর ১১ নভেম্বর লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের কাছে বিএসএফের গুলিতে ফের দুই বাংলাদেশি নিহত হন। নিহতরা হলেন- উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০) ও একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান ভাসানি (৪৫)।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এক বাক্যে বলেছে রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফেরত যায়। ইতিমধ্যে রেজুলেশন পাস হয়েছে। আমরা যেটা এতোদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম।
‘আমরা বিশ্বাস করি এতে করে মায়ানমারের ওপর চাপ পড়বে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে। এর আগে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা তাদের কথা রাখেনি।’
এদিন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন