সুদকে ‘বিলম্ব ফি’ বলা যায় কিনা পরীক্ষা করছে সরকার
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তার আওতাধীন বিভিন্ন ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘সুদ’ শব্দটি পরিহার করে ‘কিস্তি সুবিধা ফি/বিলম্ব ফি’ ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
গত ৩১ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখার উপসচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে পরিপত্রের নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের ২০১৭ সালের ৮ আগস্টের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দেয়া এক স্মারক উদ্ধৃত করে এ চিঠি দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশ। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ তাদের আর্থিক লেনদেনে ‘সুদ’ বিষয়টি পরিহারে আগ্রহী। তাই জনাব আলতাফের আবেদনে সেটি পরিহারের প্রস্তাবনা রয়েছে। তারই একটি অনুকরণীয় উদাহরণ দাঁড় করিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তাই তার মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তার আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘সুদ’ শব্দটি পরিহার করে ‘কিস্তি সুবিধা ফি/বিলম্ব ফি’ ইত্যাদি ব্যবহার করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথাবিধি আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সালাহউদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্রটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপসচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান বলেন, একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন