সুনামগঞ্জে বিয়ের রাতেই সন্তান প্রসব!

বিয়ের রাতেই একটি সন্তান প্রসব করেছেন সিলেটের সুনামগঞ্জের এক নারী। বিষয়টি নিয়ে গোটা জেলাজুড়ে সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংহপুর ইউনিয়নের ঘিলাগড়া গ্রামের চার সন্তানের জননী ওই নারীর স্বামী ৯ বছর আগে মারা যান। এরপর ওই বিধবা তার ভাশুর ৬ সন্তানের জনক ধন মিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

গত কয়েক মাস আগে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি ভাশুর ধন মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব বারবার কৌশলে পাশ কাটিয়ে গিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন ধন মিয়া। একপর্যায়ে অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত বুধবার অপর ভাশুর তৈয়ব আলীর বসতবাড়িতে গ্রাম্য সালিশ ডাকেন ওই নারী।

গ্রাম্য সালিশে বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিধবা গৃহবধূর সঙ্গে ভাশুরের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রসব যন্ত্রণা প্রবল হয়ে উঠলে সালিশের চাপের মুখে হবু স্ত্রীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন ধন মিয়া। বৃহস্পতিবার রাতেই এক পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ করেন ওই নারী। পরদিন শুক্রবার হাসপাতালের বিল ও চিকিৎসার ব্যয়ভার পরিশোধ করে ধন মিয়া হবু স্ত্রী ও নবজাতক শিশুসন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠের পরদিন শুক্রবার ওই নারী নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান।

এ বিষয়ে জানতে শনিবার মোবাইল ফোনে দোয়ারাবাজার উপজেলার ঘিলাগড়া গ্রামের মৃত চান্দালীর ছেলে ধন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‌‌’ও ভাই বড় ফেরেশানিত আছি। এইটা লইয়া আর সংবাদ প্রকাশ করইন না। যা অইবার অই গেছে।’

দোয়ারাবাজারের নরসিংহপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন শনিবার বলেন, ‘মা ও নবজাতক আপাতত বাড়িতে আছেন। তারা দুজনই সুস্থ আছেন। পরে আবার দিনক্ষণ ঠিক করে ধন মিয়ার সঙ্গে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে দেয়া হবে।’