সুন্দরীদের সামনেই স্বপ্নের কথা বললেন জেসিয়া

মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার নতুন বিভাগ ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নিলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়া ইসলাম। গতকাল রোববার ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর অফিসিয়াল ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে এ পর্বের ভিডিওটি আপলোড করা হয়।

এ বিভাগের জন্য প্রতিযোগীদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়। জেসিয়া ছিলেন ‘গ্রুপ সিক্স’-এ। এ দলে জেসিয়ার সঙ্গে আরও ছিলেন কানাডা, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও বতসোয়ানার সুন্দরীরা। চীনের শিমেলং ওশান কিংডমের পানির নিচের অ্যাকুরিয়ামে ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ পর্বের শুটিং হয়।

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে প্রত্যেক প্রতিযোগীর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়। ভিডিওতে তাঁরা নিজেদের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হওয়ার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের কথা জানান। সেখান থেকেই একটি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিযোগীদের প্রশ্ন করা হয় ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ পর্বে। জেসিয়া তাঁর তথ্যচিত্রে বলেন, তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিয়ে কাজ করতে চান। সুন্দরীদের সামনেই স্বপ্নের কথা বললেন জেসিয়া।

উপস্থাপক তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি কীভাবে নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবেন? জেসিয়া বলেন, নারীদের জন্য তিনি একটি সংগঠন তৈরি করতে চান। সেই সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারীদের শিক্ষিত, স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতেও কাজ করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান জেসিয়া।

এরপর প্রতিযোগীদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক দিক নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জেসিয়া বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভালো ও খারাপ দুই দিক আছে। চাইলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দারুণভাবে ব্যবহার করা যায়। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকে এর অপব্যবহার করে। আমার কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক তথ্যের উৎস আর মানুষকে এক করার প্ল্যাটফর্ম।’

এ বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ বিভাগটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিভাগের ফলাফলের ভিত্তিতেই শীর্ষ ৪০ জন সুন্দরীকে বাছাই করা হবে, যাঁরা চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবেন। প্রতিযোগীদের অনলাইনে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো চালু আছে। চীনের সানাইয়া সিটিতে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৮ নভেম্বর।