সেই বিখ্যাত নকিয়া ফোনকে এ নামে ডাকতেন তারা!

এক সময়ের নকিয়ার ফিরে আসা প্রযুক্তি দুনিয়ার বড় এক ঘটনা। সেই দুনিয়া কাঁপানো ফিনিশ কম্পানি অবশেষে অ্যান্ড্রয়েডে পা রেখেছে। এর আগমণের সঙ্গে সঙ্গে তার সুসময়ের স্মৃতিচারণও থেকে নেই। দুবাই পোস্ট জানাচ্ছে নকিয়া নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজারের মজার অভিজ্ঞতার কথা।

সেই ১৯৯০ এবং ২০০০ এর প্রথম দিকের কথা। নকিয়া ফোনগুলো বেশ মজার নাম প্রচলিত ছিল তখন। বাজারে এসব নামেই বিক্রি হতো ফোনগুলো। আবার ক্রেতারা এসব নামেই পছন্দের ফোনটিকে খুঁজতেন। এখানে জেনে নিন সেই মজার ইতিহাস।

১. লম্বাটে আর একটু বাঁকানো নকিয়া ৮১১০ মডেলের ফোনটিকে তারা ডাকতো ‘মোজাহ’ নামে। এর অর্থ কলা। ফোনটিকে কলা নামেই খুঁজতো সবাই। এটা বানানো হয়ে ১৯৯৬ সালের দিকে। কিবোর্ডও ছিল এটির।

২. নকিয়া ৬৬০০ ফোনটির কথা মনে আছে? একটু মোটা সাইজের ফোনটিকে ডাকা হতো ‘আল জাসমি’ নামে। তিনি ছিলেন আমিরাতের এক গায়ক। এই মডেলটি বানানো হয় ২০০৩ সারে। বড়সর ভারি এক ফোন ছিল। বেশ চওড়াও ছিল। আল জাসমি তেমনি ছিলেন দেখতে।

৩. আল দামা’আহ বা ‘অশ্রুর ফোঁটা’ নাম দেওয়া হয়েছিল নকিয়া ৭৬১০ মডেলকে। ২০০৪ সালে বানানো ফোনটি ছিল নকিয়ার বিশেষ এক ডিজাইন।

৪. ফিরিয়ে আনা হয়েছে সেই বিখ্যাত নকিয়া ৩৩১০ মডেলকে। তখন এটাকে ডাকা হতো ‘দাবদোব’ নামে। এর অর্থ ভালুক। চওড়া মোবাইলটি ২০০০ সালে বানানো হয়। ব্যাটারিটা ছিল শক্তিশালী। সবমিলিয়ে একটা ভালুক যেন।

৫. নকিয়া ৬৬৮০ মডেলটি নিয়ে আসে ভিডিও কনভারসেশন প্রযুক্তি। ২০০৪ সালে বানানো মোবাইলটিতে দেওয়া হয় ইন্টারনেটব্যবস্থা। এটাকে ‘আল ফারেস’ বা ‘নাইট’ খেতাব দেওয়া হয়েছিল।

৬. ঠিক যেন কিট ক্যাটের একটা চকলেট ছিল নকিয়া ৮১২০ মডেল। রংটাও ছিল চকলেটের কাভারের মতো। ১৯৯৯ সালে বানানো মোবাইলটিকে সবাই কিট ক্যাট ওয়েফার বলেই ভেবে নিতেন। সূত্র : দুবাই পোস্ট