সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুঃখপ্রকাশ, মামলা তুলল ঢাবি
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘অবহেলা’য় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী আফিয়া জাহিন চৈতীর মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল হাসপাতাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়েছে ঢাবি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ঢাবির প্রক্টর বলেন, হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিলেও চিকিৎসক হিসেবে নৈতিকতাবিবর্জিত মন্তব্য করায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. ফারহানা সীমার বিরুদ্ধে।
ঢাবি সূত্রে জানা যায়, মামলা তুলে নেওয়াসহ বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতার জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঢাবিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে গতকাল বুধবার হাসপাতালে দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন। এতে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, এক সহকারী প্রক্টর ও কয়েকজন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অপরদিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালের পক্ষে চেয়ারম্যান ডা. মতিউর রহমান, পরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দুজন নেতা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আলোচনায় সেন্ট্রাল হাসপাতালের পক্ষ থেকে চৈতীর মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি মেনে নেওয়া হয়। আর চিকিৎসকরা ঢাবি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ঢাবি।
এ বিষয়ে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, ‘আমাদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ায় আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি। গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় আমরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলাম। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলা তুলে নেওয়ার খবর পেয়েছি।’
চিকিৎসক সীমার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘তিনি শুধু আফিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করেননি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বাজে মন্তব্য করেন। এ জন্য আইসিটি আইনে মামলা করার জন্য আমরা সাইবার অপরাধ সেন্টারে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তবে মামলার নিশ্চিতের খবর এখনো জানতে পারিনি। আশা করি দ্রুতই মামলা নিশ্চিতের কাগজ হাতে আসবে।’
গত শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঢাবি শিক্ষার্থী আফিয়া জাহিন চৈতীর। ওই দিন রাতেই হাসপাতালের ৯ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাবি। মামলা প্রত্যাহারের আগেই তাঁদের জামিন হয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন