সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল।

শনিবার বাসসকে তিনি বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয় নেয়া এক লাখ নাগরিকের জন্য আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে।

সচিব জানান, আগামী আগস্টের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদেরকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। বর্তমানে নিবন্ধিত ১১ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে মেঘনা নদীপথ পার হলেই ভাসানচরের অবস্থান। বর্তমানে ওই চরটির আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একরের বেশি। এছাড়া দ্বীপটির চতুর্দিকে প্রতি বছর গড়ে ৩৫/৪০ বর্গকিলোমিটার ভূমি জেগে উঠেছে।

ভাসানচরের পূর্বদিকে সন্দ্বীপ উপজেলা। হাতিয়া মূল ভূখণ্ড থেকে ট্রলারযোগে ভাসানচর যেতে সময় লাগে প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা। কয়েক বছর আগে স্থানীয় বন বিভাগ এখানে বনায়ন শুরু করে। ফলে ভাসান চরে বিভিন্ন অংশে গাছ-গাছালিতে ভরে গেছে।

এই চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ হিসেবে চরের চতুর্দিকে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এছাড়া সড়ক ও অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে হবে। আগামী দুই বছরে এখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।

এদিকে শনিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগকালীন করণীয় বিষয়ে এক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাগরিকদেরও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

দমকল বাহিনীর উদ্যোগে এই মহড়া অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যা বসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।