স্ত্রী বাড়ি আসায় পালালেন স্বামী
পাঁচ মাস প্রেম করার পর সাত লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে হয় প্রেমিক যুগলের। কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রীর স্বীকৃতি পাচ্ছিলেন না কলেজছাত্রী (২০)।
বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন ছাত্রী। তাকে দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান স্বামী খায়রুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামে।
তার স্বামী খায়রুল ইসলাম এই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী নারী ভাঙ্গুড়া উপজেলার নৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভাঙ্গুড়া হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বুধবার (২৫ নভেম্বর) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলামের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে অন্তঃসত্ত্বা হন ছাত্রী। কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দিতে খাইরুল ইসলাম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন।
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা দেনমোহরে গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর থেকে খায়রুল তাকে স্ত্রীর অধিকার না দিয়ে দূরে সরে যান। একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন খায়রুল।
কলেজছাত্রী জানান, নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বিয়ের কাবিন ও কাগজপত্র নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন। শ্বশুরবাড়ি এসে নিজেকে খায়রুলের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন তিনি। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করেন। তারপর তিনি শ্বশুরবাড়ির বাড়ির বাইরে অবস্থান নেন। সেই সঙ্গে স্বামী খায়রুল স্ত্রীর আসার খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ওই ছাত্রী শ্বশুরবাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন।
এদিকে, ছাত্রীর বাবা ভাঙ্গুড়া থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন ঘটনাস্থলে যান। তবে বিষয়টি নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কিত হওয়ায় ছাত্রীকে আইনগত সহায়তা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাত জাহান বলেন, সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায়। কিন্তু ছেলের বাবা বিষয়টি মেনে না নেয়ায় আদালতের আশ্রয় নিতে মেয়ের বাবাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি সমাধান করতে অভিভাবকরা বসেছেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন