স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে কাতার
পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশিদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়া রাষ্ট্র হতে যাচ্ছে কাতার।
তুরস্কের ডেইলি সাবাহ ওয়েবসাইট জানায়, স্থায়ী বাসিন্দারা কাতারের জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থা ও বাণিজ্যিক সুবিধা পাবেন যা আগে শুধুমাত্র দেশটির নাগরিকরা ভোগ করতে পারতেন।
মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির জারি করা আইনে বলা হয়, প্রতি বছর ১০০ জন অভিবাসী দেশটির স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারক দেশের জন্য এটা একটা মাইলফলক।
স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করার আগে বিদেশি নাগরিকদের সেখানে ২০ বছর বসবাস করতে হবে। কাতারে জন্মগ্রহণকারী বিদেশিরা ১০ বছর সেখানে বসবাসের পরই আবেদনের এই সুযোগ পাবেন।
আবেদনকারীদের কাজ চলানোর মতো আরবি জানতে হবে এবং যথেষ্ট আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে।
কাতারের নাগরিকদের স্বামী বা স্ত্রী, বিদেশি পুরুষের সঙ্গে বিবাহিত কাতারি নারীদের সন্তানেরাও সেখানকার নাগরিক বলে বিবেচিত হবেন।
দেশটির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ সেবা’ প্রদানকারী বা বিশেষ কাজে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
স্থায়ী বাসিন্দারা স্থানীয় অংশীদার ছাড়াই কাতারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনের প্রক্রিয়া তদারকি করবে। বিশেষ কারণে কারও কারও স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন বাতিল করা হবে।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)-এর ছয় সদস্য দেশ নাগরিকত্বের সুবিধা দেয়ার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু কাতারের নতুন নিয়মের কারণে এই সংগঠনের ভিত্তি ভেঙে পড়েছে। এই নিয়মের ফলে নিঃসন্দেহে সেখানে কর্মরত প্রবাসীরা সেখানে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহী হবেন।
মঙ্গলবারের ঘোষণায় আরও জানানো হয়, বেশিরভাগ শ্রমিকরা এখন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এক্সিট ভিসা না নিয়েই কাতার ত্যাগ করতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন