স্বামীকে খুন করতে মেয়ের ‘বয়ফ্রেন্ড’কে অবিশ্বাস্য প্রস্তুাব নারীর
স্বামী মদ খেয়ে মাতলামি, এমনকি মারধরও, তাই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। আর এজন্য মেয়ের বয়ফ্রেন্ডকে ব্যবহারের কৌশল তৈরি করলেন তিনি। এবেলার খবর, গত ১৫ মে ভারতের ইনদোরে প্রেমচাঁদ নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, ওই ব্যক্তিকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির বাড়িতে লাকি নামে তাঁর প্রতিবেশী এক যুবকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এর পরেই পুলিশ লাকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ওই যুবক স্বীকার করে, মৃতের স্ত্রী সঙ্গীতাই দু’মাস আগে নিজের স্বামীকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে। স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, স্বামীর অত্যাচারে তার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কারণ তার স্বামী মদ খেয়ে নিয়মিত তাকে মারধর করে।
লাকি পুলিশকে আরও জানায়, মৃত প্রেমচাঁদের মেয়েকে সে ভালবাসত। প্রেমচাঁদের স্ত্রী তাকে জানায়, এই সম্পর্কে তার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তার স্বামী প্রেমচাঁদ এই সম্পর্ক মেনে নেবেন না। তখনই লাকিকে অবিশ্বাস্য প্রস্তাব দেয় সঙ্গীতা। মৃতের স্ত্রী প্রস্তাব দেয়, তার স্বামীকে যদি লাকি খুন করে দেয়, তাহলে তার সঙ্গেই নিজের মেয়ের বিয়ে দেবেন তিনি। সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যায় লাকি নামে ওই যুবক।
এরপর প্রেমচাঁদের বাড়িতে নিজের এক বন্ধুকে নিয়ে যায় লাকি। সেখানেই লাকি, তার বন্ধু এবং সঙ্গীতা মিলে প্রেমচাঁদকে হত্যা করে। লাকির বন্ধু প্রেমচাঁদের হাত চেপে ধরে, স্ত্রী সঙ্গীতা পা ধরে রাখে। আর লাকি গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রেমচাঁদকে হত্যা করে।
এর পরেই প্রেমচাঁদের মৃতদহ বাইকে করে নিয়ে একটি নালার মধ্যে ফেলে আসে লাকি এবং তার বন্ধু। কিন্তু চুক্তিমতো প্রেমচাঁদের মেয়েকে আর বিয়ে করা হয়নি লাকির। কারণ ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে লাকি, তার বন্ধু এবং প্রেমচাঁদের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন