স্বামীর আনুগত্যশীল স্ত্রীরা জান্নাতি
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ নেককার স্ত্রী। হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে নারী এমন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে যে, স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে জান্নাতি নারীর কিছু গুণাবলী তুলে ধরা হলো-
>> জান্নাতী রমণী নেক ও পূণ্যের কাজে অংশ নেয় এবং আপন পালনকর্তার ইবাদত করে তাঁর হক আদায় করে।
>> জান্নাতী রমণী এমন ক্ষেত্রে স্বামীর আনুগত্য করবে; যেখানে আল্লাহ তাআলার নাফরমানী নেই।
>> নিজের ইজ্জতের হেফাযত করবে; বিশেষ করে স্বামীর অনুপস্থিতিতে।
>> যে নারী স্বামীর সম্পদের হেফাযত করবে এবং তার সন্তানদেরকে সঠিকভাবে লালন-পালন করবে।
>> সর্বদা এমনভাবে স্বামীর সম্মুখবর্তী হবে; যাতে তিনি খুশি হন এবং এজন্য নিজের অতিরিক্ত সৌন্দর্য ও হাসি মুখ তার সামনে প্রকাশ করতে সচেষ্ট হবে।
>> স্বামী রাগান্বিত হলে যে কোনো প্রকারে তাকে খুশি করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবে। কেননা সেই তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। যেমনটি ইতোপূর্বে হাদীছে উল্লেখ হয়েছে।
>> স্বামী তার সঙ্গ চাইলে কোনভাবেই তাতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে না। তার ডাকে সাড়া দিবে এবং পরিপূর্ণরূপে নিজেকে তার কাছে সমর্পন করবে।
আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সব স্ত্রীদেরকে স্বামীর আনুগত্য করে জান্নাতের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন