স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনায় আক্রান্ত, ক্ষতিগ্রস্থ ও সংকটাপন্ন মানুষের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঈদের সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না হলে আনন্দের ঈদ জাতির জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ ডেকে আনতে পারে।
সোমবার (১৯ জুলাই) পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া দেশবাসীকে ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই সারাদেশে কোরবানির জন্য পশুর হাট জমে উঠেছে। প্রতিটি হাটেই প্রতিদিন ভিড় করছে হাজারও মানুষ। পশুর হাটে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারের বালাই আছে বলে মনে হয় না। আবার প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ছুটছেন বাড়ির পথে। সেখানেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। লঞ্চ, বাস ও অন্যান্য যানবাহনে গাদাগাদি করে ছুটছে মানুষ। শারীরিক দূরত্ব বা করোনা সচেতনতার অভাবে কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। ফলে আশংকা তৈরী হচ্ছে ঈদ পরবর্তীতে যেন ঈদের খুশি কান্নায় পরিনত হবে।
নেতৃদ্বয় সংকটাপন্ন মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে আসে ঈদ-উল-আজহার আনন্দঘন মুহূর্ত। কিন্তু এমন এক সময় আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপস্থিত যখন বিশ্বব্যাপী করোনার আঘাতে বাংলাদেশও ক্ষত-বিক্ষত। করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে মানুষ দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। গত প্রায় দেড় বছরে করোনার কারণে জনজীবন বিপর্যস্থ। অর্থনৈতিকভাবে মানুষ চরম দুর্দশাগ্রস্থ। মানুষ ঈদ আনন্দ ভোগ করা থেকে বঞ্চিত।
বিত্তবানদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, কোনো অসহায় ও দুস্থ শ্রমজীবী মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন দুস্ত মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন, শ্রমজীবী মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থায় বিত্তবানদের উচিত অসহায়, দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন, অধিনস্থ, প্রতিবেশীসহ ক্ষতিগ্রস্থ সকল গরিব-দুঃখী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারিতে এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে নিরানন্দ, ভয় ও আতঙ্ক। এই পবিত্র দিনে প্রার্থনা করি অদৃশ্য আততায়ী করোনার কবল থেকে মহান আল্লাহ মানুষকে হেফাজত করুন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি ঘড়ে প্রবাহিত করুক শান্তির অমীয় ধারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন