স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের খরচ বেশি? উপায় জেনে নিন
বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোন ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায়। নিচে তেমনই কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ডেটা রেসট্রিকশন : অনেকেই জানেন না যে স্মার্টফোনটি যখন ব্যবহার করছেন না কিন্তু ডেটা অন করে রেখেছেন তখনও আপনার ডেটা খরচ হচ্ছে! হ্যাঁ ঠিক তাই। আপানার অ্যানড্রয়েড ফোনটির বেশির ভাগ অ্যাপস ই সার্ভিস সচল রাখার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করে। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, প্লে-স্টোর, গুগল অ্যাপস, মেসেঞ্জার ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলো আপনি অন্য কাজ করার সময়ও অকারণে ডেটা কাটতে থাকে। এর থেকে বাঁচতে আপনার সেটিংস অপশনে গিয়ে ডেটা ইউজেস>তারপর রেস্টিক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অপশনে টিক দিয়ে দিন। আপনার নোটিফিকেশন বারে একটি বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেখাবে। এর মানে অ্যাপগুলি আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা চুরি করতে পারবে না।
শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপস চালু রাখুন : যেহেতু স্মার্টফোন ইউজ করেন সেহেতু নিশ্চয়ই ইন্টারনেটভিত্তিক কোনো একটি বা একাধিক ইনস্টেন্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। এর মাঝে এমন একটি অ্যাপ থাকতে পারে যেটিকে সব সময় চালু রাখা দরকার। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করে রাখেন তবে সবগুলি অ্যাপ একত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে বন্ধ হয়ে থাকবে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সেটিংস>ডেটা ইউজেস এ গিয়ে দেখতে পাবেন সবগুলি অ্যাপ দেখাচ্ছে। কোন অ্যাপ কি পরিমাণ ডেটা খরচ করছে সেটাও আপনি দেখতে পারবেন। এখন একটু সময় নিয়ে অ্যাপসগুলোতে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করুন এবং যে অ্যাপগুলো আপনার চালু রাখা দরকার সেগুলো বাদ দিয়ে বাকিগুলো রেস্টিক্টেড করে দিন।
ডেটা সেভিংস অ্যাপ ব্যবহার : কিছু কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো অনেক লো ডেটা খরচ করে আপনাকে ব্রাউজিংয়ের সুযোগ দেয়। যেমন অপেরা মিনি, অপেরা নিউ, ইউসি ব্রাউজার–এ ডেটা সেভিংস মুড আছে। এই মুড ব্যবহার করে আপনি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রাউজিং খরচ বাঁচাতে পারেন। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এর ক্ষেত্রে সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করুন। যেমন ভয়েস কলিংয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ–এ ডেটা খরচ খুবই কম হয়। তাই দেখেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
সিকিউরিটি অ্যাপ ব্যবহার : বিভিন্ন সিকিউরিটি অ্যাপস ব্যবহার করেও আপনি ডেটা খরচ কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলোর দ্বারা আপনি জানতে পারবেন কোন অ্যাপগুলি আপনার ডেটা চুরি করছে। সেটিংসের মাধ্যামে আপনার পারমিশন ছাড়া সেগুলো ডেটা ব্যাবহার করতে পারবে না। প্লে-স্টোরে সি এম সিকিউরিটি, ৩৬০ সিকিউরিটি ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যাপ আছে। এই অ্যাপগুলোর দ্বারা ডেটা প্রটেকশন ছাড়াও ভাইরাস, হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
ডেটা সেটিংস : আপনার ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সেটিংস রয়েছে যেগুলিকে ব্যবহার করা জরুরি। যেমন আপনার স্মার্টফোনটিকে ওয়াইফাই্ হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ওয়াইফাই-ভিত্তিক কিছু অ্যাপস যেমন শেয়ার ইট ব্যবহারের সময় আপনার অজান্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকসময় হটস্পট চালু হয়ে যায়। এর ফলে আপনার অজান্তে অন্য কেউ আপনার ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এমনকি ওয়াইফাই নেটোওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার স্মার্টফোনটি হ্যাক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবকিছু চেক করুন। হটস্পটে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এবং অবশ্যই প্রয়োজন না থাকলে ব্যবহার শেষে আপনার ডেটা কানেকশন বন্ধ রাখুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন