স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ
মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে জেগে উঠার আহবানের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের উপকণ্ঠের লেকভিউতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নারী নেতৃবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুল শমসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ৩১৩ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহানা মুহিদ বুলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা আক্তার রুবি, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, ইসমত আরা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রুবি, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী, শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
নারী সমাবেশে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি চীনে যেয়ে দেশের জন্য বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করছেন। চীন এবং ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশও শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন আমরা খুবই খুশি আপনারা নারীরা সংগঠিত হচ্ছেন। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। সাতক্ষীরায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। নারীর জীবন মান উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না।
তিনি বলেন, মহিলা সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে নারীদের এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, উপজেলা পরিষদের নারী সদস্য ও জেলা পরিষদের নারী সদস্যসহ সংশ্লিষ্ঠদের একত্রিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রেখে নারীদের জন্য অনেক কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রাইমারি স্কুলের সিংহভাগ শিক্ষকই নারী। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্ব মাঠে নেমেছে কোটা তুলে দিতে। তারা অচলাবস্থা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা চালাছে। নারীদের স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা কোথাও টাকা দিতে হয় না। নারীদের উপবৃত্তি ব্যবস্থা আছে। সরকার নারী উন্নয়ন অনেক কাজ করে যাচ্ছে। সেই সুযোগ সুবিধা না জানার কারণে নিতে পারছেন না। নারীদের অনেক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য করা যাচ্ছে। নারীরা এখন আর চাকরীর জন্য কোথাও দৌড়ায় না। নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরি দেয়। বর্তমান সরকার নারীদের যেসকল সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন সেগুলো জানতে হবে। এগুলো জানতে হলে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে আসতে হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নারী সংগঠনের হয়ে কাজ করতে হবে।
নারী সমাবেশে লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপি বলেন, নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না। নারীদের অধিকার নিজেদেরকে চেয়ে নিতে হবে। কেউ অধিকার না দিলে আমাদের আদায় করে নিতে হবে। এর আগে কোন সরকার নারীদের জন্য এভাবে কাজ করিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নারীদের জন্য কাজ করা যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীসহ প্রায় ৪২ রকমের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কারো সন্তান প্রতিবন্ধী হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারকেও ভাতা দিয়ে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকেন। কিন্তু সেই সহায়তার কথা কেউ আপনাদের জানানও না। সংশ্লিষ্ঠরা সঠিক তথ্য জানান না বলে আপনারা জানতে পারেন না।
এমপি সেঁজুতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংসদে এবং আপনারে সামনে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। সে সুযোগ কাজে লাগাতে আগামী দিনে আপনাদের সাথে এক সাথে কাজ করতে পারি সেই সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের কারো মেয়ে অথবা কারো বোন। আমাকে আপানাদের একজন মনে করবেন। আপনাদের যা চাওয়া-পাওয়া সেগুলো অবশ্যই দলের মাধ্যমে প্রত্যাশা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক উন্নয়ন করলেও আপনারা আপনাদের এলাকায় সঠিক নেতা নির্বাচন করেন না বলে পৌরসভার মানুষ আজও অবহেলিত। এই সরকারের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা হলেও এই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কখনো স্বীকার করে না যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে হয়েছে। আমরা এমপি হিসেবে যা কাজ করি না কোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে করি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ওয়ার্ডকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগে বিদ্যুৎ থাকতো না, এখন আর বিদ্যুৎ যায় না। নারীর জাগরণ দরকার আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা দরকার। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এই ওয়ার্ডের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা ও সুপেয় পানির সমস্যা। এই সমস্যাগুলো দুর করতে হলে খুবই ভেবেচিন্তে সঠিক নেতা নির্বাচন করতে হবে। দলের নেতাদের মাধ্যম দিয়ে এবং আমার দলের কর্মী হতে হবে। আমার দলের নেতা হতে হবে। আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো।
সমাবেশ সহ¯্রাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন