হাওরের ১৯টি নদী খনন করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেছেন, হাওরের ফসল রক্ষায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এর স্বতন্ত্রতা ও জীববৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। শীঘ্রই হাওর এলাকার ১৯টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সে জন্য কাজ চলছে।
এছাড়া ৬শ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে এতো কথা হবে না।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, হাওরের বাঁধ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে করা সম্ভব নয়, কারণ প্রাকৃতিক কারণে এটা সম্ভব হয় না।
পানি নামার পর জায়গাটা কাজের উপযোগী হলেই তবে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়। কাজেই সময়সীমার মধ্যে করতে পারা না পারার বিষয়টা ঠিক না। আমরা বাঁধের কাজ আন্তরিক ভাবে করে যাচ্ছি যাতে কৃষক তার ফসল নিরাপদে ঘরে তুলতে পারে৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামসুদ্দোহা প্রমুখ।
পরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী স্পিড বোটে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন