হাতিয়া র্যাব-১১ এর অভিযানে অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু গ্রেফতার
এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী-ল²ীপুর জেলার চরাঞ্চল মেঘনার মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতা দমনে র্যাব-১১ বরাবরই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। ইলিশের মৌসুমকে সামনে রেখে যে কয়েকটি জলদস্যু বাহিনী জেলেদের অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজী করে মেঘনার মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করেছে তাদের মধ্যে জলদস্যু কালাম চৌধুরীর ‘কালাম বাহিনী’ অন্যতম। এই কালাম চৌধুরীর নিজ জেলা ভোলার মনপুরায় হলেও তার বাহিনীতে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, বাঁশখালী, হাতিয়া ও রামগতির অনেক জলদস্যু রয়েছে। জলদস্যু কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোলার মনপুরা থানায় ০৮ (আট) টি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী রয়েছে। বিগত এক মাসে বঙ্গোপসাগরে এই কালাম বাহিনী নিজ দলের দুই জন সদস্যকে খুন করে লাশ গুম, অনেক জেলেদের অপহরণসহ মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই ও মোবাইলের মাধ্যমে প্রায় বিশ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজী করেছে বলে জানা যায়। বেশকিছুদিন যাবৎ অত্র ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ দল কালাম বাহিনীর উপর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রেখেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, আসন্ন ইলিশের মৌসুমকে সামনে রেখে ‘কালাম বাহিনীর’ সদস্যরা নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন নলেরচর আদর্শগ্রাম এলাকায় জলদস্যু মামুনের বাড়ীতে একত্রিত হয়ে সাগরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৩ই জুন ২০১৭ ইং তারিখ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত র্যাব-১১ এর স্পেশাল কোম্পানী ও সিপিসি-৩, ল²ীপুর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ এবং সিনিয়র এএসপি মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে হাতিয়ার নলেরচর এলাকায় জলদস্যু কালাম বাহিনীর অবস্থানে অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যু কালাম বাহিনীর প্রধান কালাম চৌধুরী ও তার কয়েকজন সক্রিয় সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার বাহিনীর ‘নদীর কমান্ডার’ হিসেবে পরিচিত কুখ্যাত জলদস্যু আমির (২৬), হাতিয়া এবং বেলায়েত (২৮), ভোলা বাদশা বাসু (২৮), কুতুবদিয়াħ ফরহাদ (২৪), হাতিয়া ও রিয়াজ (২৩), ভোলা’দেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ০৭ (সাত) টি একনলা বন্দুক, ২৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি রকেট ফ্লেয়ার এবং ০১ টি বন্দুকের অতিরিক্ত ব্যারেল উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। হাতিয়া ও স›দ্বীপসহ আশপাশের মোহনা এবং সমুদ্র উপকূল এলাকায় তৎপর অন্যান্য জলদস্যু ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরŮদ্ধে র্যাবের অভিযান আরো জোরদার করা হবে যাতে এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস ও মৎস্য আহরণসহ অন্যান্য জীবিকা নির্বাহের কর্মকান্ড নির্বিঘেœ করতে পারে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন