হাতে হাতকড়া পরেই মেয়ের বিয়ে দিলেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা
কথায় বলে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। বিয়ের আয়োজন থেকে কন্যা সম্প্রদান মেয়ের বিয়েতে বাবার দায়িত্ব ঠিক কতটা, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর পাত্রীর যদি কোনও দাদা থাকে, তাহলে বোনকে সুষ্ঠুভাবে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর ভার তার ঘাড়েও বর্তায় বইকি।
এমনকী, দাদার বন্ধুরাও অনেক সময় বিয়ের নানা দায়িত্ব ভাগ করে নেন। শুধু বাঙালি কেন, যেকোনও সম্প্রদায়ের বিয়েতেই চিরকাল এমনটাই হয়ে আসছে। কিন্তু, ধরুন যদি এমন হয়, বাড়িতে মেয়ের বিয়ের আসর বসেছে। আর সেখানে পাত্রীর বাবা, দাদারা পুলিশি ঘেরাটোপে হাতে হাতকড়া পরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিজওয়াড়ায়।
বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা মনোহর মালাডে ও তার দুই ছেলে আমোগোন্দ ও সিদ্ধেশ্বর এখন জেলে। একটি খুনের মামলায় তাদের বিচার চলছে নিম্ন আদালতে। মঙ্গলবার ছিল মনোহরের একমাত্র মেযের বিয়ে। অগত্যা মেয়ের বিয়েতে হাজির থাকার জন্য নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন মনোহর ও তার দুই পুত্র। কিন্তু সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অন্ধ্র হাই কোর্টে মামলার করেন তারা। মামলার নথির সঙ্গে বিয়ের কার্ড জুড়ে দেওয়া হয়।
জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেও, বিশেষ পুলিশি প্রহরার মনোহর ও তার দুই ছেলে বিয়ে হাজির থাকার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্ট জানিয়েছে, নিম্ম আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর পরিস্থিতি কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই জামিন খারিজ রায়টি নতুন করে পুর্নবিবেচনার করার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষ পুলিশি প্রহরায় অভিযুক্তদের বিয়ের আসরে হাজির থাকার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
আদালতের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার সকালে বিশেষ প্রহরায় হাতকড়া পরিয়ে মনোহর ও তার দুই ছেলেকে, বিয়ের আসরে নিয়ে যায় পুলিশ। দিনভর বিয়ের আসরে হাতকড়া পরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সন্ধ্যায় আবার একইভাবে তাঁদের জেলে ফিরিয়ে আনা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন